ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কেন্দ্র হোক বা রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প এনেই চলেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে যেন এক অকথিত প্রতিযোগিতা চলে কে কত প্রকল্প আনবে। বিশেষ করে বাংলা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা চোখে পড়ার মতো। আজ তেমনই দুটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে যেগুলি একে অপরকে জোরদার টক্কর দেয়। আজ কথা হবে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
আয়ুষ্মান ভারত কার্ড কী?
কেন্দ্রের এই জনদরদী প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্রি স্বাস্থ্যবিমার পাবেন দেশের নাগরিকরা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে স্বাস্থ্যবিমায় ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ দিতে হয় রাজ্যকে ও ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। যে কোনও হাসপাতালে গেলেই নাগরিকরা এই সুবিধা পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ ক্যাশলেস সুবিধা মিলবে। হাসপাতালে গিয়ে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড দেখালেই হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৩ দিন আগে ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৫ দিন পর্যন্ত যাবতীয় মেডিক্যাল খরচ, ওষুধের খরচও এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা কী?
এবার আসা যাক স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা কী কী সে বিষয়ে। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ পাবেন। এই স্বাস্থ্যবিমার কার্ড থাকলেই হবে। মিলবে সম্পূর্ণ ক্যাশলেস পরিষেবা। সর্বোপরি আপনার আগে থেকে থাকা কোনও রোগেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কভারেজ মিলবে। পরিবার যতই বড় হোক, সবাই স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাবেন। পরিবারের প্রবীণ নাগরিকরাও এই স্কিমের সুবিধা পাবেন। যারা বিশেষ ভাবে সক্ষম তাঁরাও এই কার্ডের সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
আয়ুষ্মান ভারত কার্ড-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পার্থক্য কী?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মধ্যে মূল পার্থক্যটা ঠিক কোথায়? সবথেকে বড় ব্যাপার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে আপনি পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিত্সা পাবেন। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত কার্ড যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি দেশের যে কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্যবীমা পাবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা বেশি। আর হ্যাঁ, দুটো কার্ড একসঙ্গে রাখতে পারবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও অবধি আয়ুষ্মান ভারত যোজনা রাজ্যে চালু করেনি। তাই রাজ্যের নাগরিকরা বাইরে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন না।