ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মাথায় চিন্তার বাজ পড়ল সরকারী কর্মচারীদের! সব টাকা ফেরত পাঠানোর চিঠি পাঠালো সরকার! কেন্দ্র হোক কিংবা রাজ্য, সরকারী কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই DA বা মহার্ঘ ভাতা যেমন বাড়াচ্ছে তেমনই নানা সুবিধাজনক ভাতাও চালু করা হচ্ছে। তবে এর মাঝেই এল দুঃসংবাদ! ভোটের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এতদিন যাবৎ যা যা সরকারী ভাতা পেয়েছে তা সব ফেরৎ দেওয়ার চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। তবে সকল সরকারি কর্মীদের জন্য নয়। বিরাট ক্ষতি পোহাতে হবে শুধুমাত্র একজন কর্মীকেই। লক্ষ-লক্ষ ভাতা বাবদ টাকা সরকার ফেরত চাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে এর বিচার চাইতে গেলে সেখানেও একই হতাশার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু কেন এমন ঘটল সেই সরকারী কর্মীর সঙ্গে?
HRA Rules
ঘটনাটি ঘটেছে আসলে জম্মু-কাশ্মীরের এক সরকারী কর্মীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালের জম্মু-কাশ্মীর সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট অনুযায়ী একই পরিবারের একাধিক সদস্য যদি রাজ্য সরকারের চাকরি করেন এবং তাঁরা যদি একই আবাসন বা বাড়িতে থাকেন তবে একজনমাত্র HRA বা বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন। বাকিরা কেউ এই ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন না। কিন্তু সেই আইনকে তোয়াক্কা না করেই বড় বিপাকে পড়লেন সেই কর্মী।
সরকারের আইন অমান্যতে বিপত্তি
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের DSP পদে কর্মরত ছিলেন সেই ব্যক্তি। অবসর নেওয়ার পর নিয়ম মাফিক সরকারের থেকে পেনশন নেওয়ার পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মতই HRA নিচ্ছিলেন। এদিকে তাঁর ছেলেও রাজ্য সরকারের চাকরি করে। সেও বেতনের সঙ্গে HRA নিচ্ছিলেন। এবং একই বাড়িতে থাকেন। আর তাতেই হয় নিয়মের লঙ্ঘন।
আরও পড়ুনঃ পারেনি গম্ভীরও, অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাস শ্রেয়সের! নতুন অধ্যায় লিখল KKR
তাই আইন অমান্য করায় জম্মু-কাশ্মীর সরকার ছেলের কাছ থেকে বাড়িভাড়া ভাতার গোটা টাকাটাই ফেরত চায়। যার পরিমাণ মারাত্মক। প্রায় ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮১৪ টাকা ফেরৎ চায় সরকার। এদিকে একসঙ্গে এতগুলো টাকার লোকসানে ওই ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেও একই রায় দিলে শীর্ষ আদালতের কাছে অনেক আশা নিয়ে যান। কিন্তু সব আশায় আরও একবার জল ঢেলে দেয় সুপ্রিম কোর্টের রায়। সেখানেও গোটা টাকা ফেরত দিতে হবে বলে উপদেশ দেওয়া হয়েছে ওই কর্মীকে।