ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ক্যানসারের ওষুধ সহ নানা জীবনদায়ী ওষুধ তৈরির জন্য একাধিক উপাদান রফতানির ক্ষেত্রে চিন সহ একাধিক বিদেশী সংস্থার ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় ভারত সরকারকে। এছাড়াও আরও নানা কারণে বিরল খনিজ পদার্থের জন্য নির্ভর করতে হয় বিভিন্ন দেশের প্রতি। সব মিলিয়ে বলা যায় বিশেষ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশগুলো কার্যত একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে এইসবের ক্ষেত্রে। কিন্তু, এবার দীর্ঘদিনের সেই দাপটের অবসান ঘটাতে চলেছে ভারত! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তাহলে সম্পূর্ণটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
আত্মনির্ভর হতে চলেছে ভারত!
সম্প্রতি এক বিশেষ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে বিপুল খনিজ পদার্থের সম্ভার পাওয়া গিয়েছে। তাও আবার উটের দেশ রাজস্থানে। সেখানে কখনও সোনার খনি তো আবার কখনও অন্য কোনও মূল্যবান খনিজের গুপ্তধন পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে এই রাজস্থানেই নাকি প্রায় ১২টি জেলায় বিরল খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে এবার ভারতের আশ্বাস এবার দেশকে অন্যান্য দেশের উপর থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ নির্ভরতা কমে যাবে। এছাড়াও দেশের মধ্যে কর্মসংস্থানের রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে এবং বেকারত্বের সংখ্যাও কমবে।
আসলে এই বিরল প্রজাতির খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য একটি আর্থ এলিমেন্ট এক্সিলেন্স সেন্টার খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই চটজলদি রাজ্যে বিদ্যমান খনিজগুলি অনুসন্ধান করা যাবে। তবে এর জন্য খরচ হবে বেশ। তার কারণ মাটির একদম নিম্নভাগ থেকে এই খনিজ বের করে আনতে দরকার পড়বে এক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এছাড়াও উদ্ধার করা খনিজ পদার্থ সম্পর্কিত একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। যার ফলে শিল্পও বেশ চাঙ্গা হবে। ইতিমধ্যেই খনি বিভাগের গবেষণা কর্মীরা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে চলেছে।
কোথায় কোথায় খোঁজ মিলেছে খনিজের?
গবেষকদের মারফৎ জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজস্থানের যে সকল জেলা থেকে লুকানো খনিজ পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বারমের, জালোর, সিরোহি, পালি, উদয়পুর, ভিলওয়ারা, নাগৌর, আজমির, জয়পুরের নিমকাথানা, রাজসমন্দ, সিকর এবং বাঁশওয়ারা। এই জেলাগুলিতেই নাকি লুকানো রয়েছে খনিজ। সূত্রের খবর এই সকল খনিজেই নাকি বাস্তানাসাইট, ব্রিটোলাইট, সিঙ্কাইসাইট এবং জেনোটাইম রেয়ার আর্থ উপাদানের মজুত রয়েছে।