দেবপ্রসাদ মুখার্জী: চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন একটি করে ফল খেলে নাকি অনেক রোগের থেকে দূরে থাকা যায়। এবার ফল খাওয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই এখন অনেকেই ফলের জুস খেয়ে থাকেন। কেউ বাড়িতে প্যাকেজড জুস খান, কেউ আবার ফুটপাতের দোকান থেকে কিনে খান। আপনিও যদি ফুটপাতের দোকান থেকে ফলের জুস কিনে খান মাঝেমধ্যে, তাহলে এবার আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ সম্প্রতি, গাজিয়াবাদে এক জুস বিক্রেতাকে ধরা হয়েছে যিনি জুসের মধ্যে প্রস্রাব মিশিয়ে বিক্রি করছিলেন।
গাজিয়াবাদের লনি এলাকায় এমন জঘন্য একটি ঘটনা ঘটেছে। ইন্দিরাপুরী এলাকার একটি জুসের দোকানে জুসের নামে ক্রেতাদের প্রস্রাব খাওয়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় লোকজন জুসের অদ্ভুত স্বাদ অনুভব করে প্রতিবাদ করলে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় লোকজন দোকানের মালিককে হাতেনাতে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে খবর।
জুসের দোকানে প্রস্রাবের বোতল
জুসের দোকানে বোতলে বোতলে মানুষের প্রস্রাব রাখা হয়েছে, স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ভিডিও করে পুলিশে খবর দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা এসব যুবককে বেধড়ক মারধরও করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানদার সহ দুজনকে হেফাজতে নেয়। জুস ও মানুষের মূত্রের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জুস বিক্রেতাকে আটক করলো পুলিশ
গাজিয়াবাদ জেলার লনি বর্ডার এলাকায়, ফলের রসে মানুষের প্রস্রাব মেশানোর অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী এক জুস বিক্রেতা এবং তার নাবালক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। অঙ্কুর বিহার এলাকার পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার ভাস্কর ভার্মা বলেছেন যে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর মতে, মানুষের অভিযোগ ছিল, এই জুস বিক্রেতা মানুষের প্রস্রাবের সঙ্গে ফলের রস মিশিয়ে গ্রাহকদের পরিবেশন করছেন।
यूपी : गाजियाबाद में जूस में पेशाब मिलाकर कस्टमर्स को पिलाया जा रहा था। दुकान संचालक आमिर और कैफ को पुलिस ने गिरफ्तार किया। दुकान से करीब एक लीटर पेशाब बरामद हुआ। पब्लिक ने दोनों आरोपियों की पिटाई की। pic.twitter.com/cePg6p2YzE
— Sachin Gupta (@SachinGuptaUP) September 13, 2024
কেন এমন জঘন্য কাজ করছিলেন জুস বিক্রেতা?
২৯ বছর বয়সী জুস বিক্রেতার নাম আমির বলে জানা গেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ এসে তার জুসের স্টলে তল্লাশি চালায় এবং প্রস্রাবে ভরা একটি প্লাস্টিকের ক্যান পাওয়া যায়। তার মতে, পুলিশ এ ব্যাপারে আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।