ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিশ্বে একের পর এক জয়ের মুকুট ধারণ করে চলেছে ভারতবর্ষ। টেলিকম দুনিয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দারুণ পারফরমেন্স ভারতের। এবার সেই জয়ের তালিকায় আরেকবার এগিয়ে এল ভারত। গর্বের হাসি হাসছে দেশের মানুষ।
সূত্রের খবর, বিশ্বের দরবারে এবার বিরাট নজির গড়ল আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন। বিশ্বের বৃহত্তম পরিবহণ পরিষেবা সংস্থা হিসেবে APSEZ বিবেচিত হয়েছে। আগে যেখানে চিনের বেজিং-সাংহাই হাই স্পিড রেলওয়ে ছিল বিশ্বের বৃহত্তম পরিবহণ পরিষেবা সংস্থা, সেখানে দাঁড়িয়ে আদানি সংস্থা যেন জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিল চিনের থেকে। উচ্ছসিত গোটা দেশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আদানি গোষ্ঠী ভারতের মোট কার্গোর ২৭ শতাংশ ওঠা-নামার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের ৪৪ শতাংশ কন্টেনার কার্গো ওঠা-নামার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই আদানি পোর্টস যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। এই আবহে বেশ আনন্দিত ডিআরচোকসি ফিনসার্ভের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবেন চোকসি। তিনি জানান, ‘এটা আদানি পোর্টসের জন্য একটি নতুন যাত্রার সূচনা। কারণ সংস্থাটি এক দারুণ উল্লেখযোগ্য নগদ প্রবাহের পর্যায়ে আছে এবং দক্ষতার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো ওঠা-নামানো করছে।’
রিসার্চে আদানি পোর্টস নিয়ে বড় দাবি
অন্যদিকে নুভামা অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কোয়ান্টিটেটিভ রিসার্চ নানা সমীক্ষা করে জানিয়েছেন যে শীঘ্রই আদানি পোর্টসও ভারতের বেঞ্চমার্ক ইক্যুইটি সূচকের আওতায় আসতে চলেছে। যার ফলে ২৫২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে ভারতীয় বন্দর পরিচালনা সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে মুম্বই, দিল্লি! নিজেদের ৬০ হাজার কোটির সম্পত্তি বিক্রি করবে LIC
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল গতকাল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্তও আদানি পোর্টসের বাজারমূল্য ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আজ অর্থাৎ ২০ জুন, লক্ষ্মীবারে যেন কপাল খুলে গেল আদানি গোষ্ঠীর। সেই বাজারমূল্য আরও অনেকটাই বেড়ে যায়। অবশ্য তার অন্যতম কারণ ছিল স্টক এক্সচেঞ্জে সকাল থেকেই আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এদিকে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের মূল্যে ২০ শতাংশেরও বেশি নিম্নমুখী ছিল। সেই সময় ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের শেয়ার বাজার বিশ্লেষক ডেনিস ওং জানিয়েছেন যে, ‘আগামী পোর্টসের শেয়ারে বিনিয়োগ করার বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, এমনকি ভারতের নতুন জোট সরকারের অধীনে এই সংস্থা আয় বৃদ্ধির অনিশ্চয়তার মুখোমুখিও পড়তে পারে।