বিরাট চাপ, বেতন-ভাতা নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের! কপাল পুড়ল লক্ষ লক্ষ কর্মীর

Published on:

High Court

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে সরকারী কর্মীদের বেতন এবং ভাতা সংক্রান্ত একের পর এক নানা মামলা কখনও হাইকোর্টে গিয়ে ঠেকছে তো আবার কখনও সেই মামলা হাইকোর্ট পেড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ঠেকছে। অন্যদিকে কোনো কোনো কোম্পানীর ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে নয়ছয় করা নিয়েও একাধিক মামলা উঠেছে আদালতে। এই আবহেই এবার হাইকোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ মামলা ইতিমধ্যে উঠে এসেছে।

বেতন সংক্রান্ত মামলা উঠল আদালতে

এয়ার ইন্ডিয়া যখন সরকারি সংস্থা ছিল, সেই সময় পারফর্ম্যান্স লিঙ্কড ইনসেন্টিভ আটকে রাখা নিয়ে একটি মামলা প্রথমে বম্বে হাই কোর্টে করা হয়। কিন্তু সেখানে বিচারক জানান, প্রাথমিক ভাবে এটি প্রতারণার মামলা মনে হচ্ছে। অর্থাৎ এয়ার ইন্ডিয়া যদি শ্রমিকদের পরিষেবার শর্ত পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে সংস্থাকে ২০১৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিবর্তনের নোটিশ দিতে হত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আর্থিক অবস্থা ঠিক হয়ে গেলে কর্মীদের বকেয়া বেত মিটিয়ে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। তবে বকেয়ার ওপরে কোনও সুদ না দেওয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ৪১৫ এবং ৪২০ ধারায় মামলা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে।সেই মামলা আজও শীর্ষ আদালতে ঝুলে আছে।

WhatsApp Community Join Now

বিরাট রায় হাই কোর্টের!

সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার যখন আর্থিক অবস্থা নিম্নমুখী ছিল, তখন ২টি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই পারফর্ম্যান্স লিঙ্কড ইনসেন্টিভের ২৫ শতাংশ আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময় শিল্প বিবাদ আইনের ৯এ নং ধারার অধীনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিধিবদ্ধ নোটিশ জারি করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। যার দরুণ এই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছোয়।

আরও পড়ুনঃ DA তো হলই, এবার সরকারি কর্মীদের জন্য থাকছে আরও বড় চমক! শীঘ্রই ঘোষণা

তবে সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্ট সেই মামলার রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি এন জে জমাদারের একক বেঞ্চ সরাসরি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে বেতন বা ভাতা আটকানো কোনোটাই প্রতারণা বা অপরাধের পরিধির মধ্যে পড়ে না। যার দরুণ বিরাট চাপের মুখে কর্মীরা।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন