DA অতীত! ভোট মিটতেই কড়া রায় হাইকোর্টের, মাথায় বাজ সরকারি কর্মীদের

Published on:

government-employee

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ এবার সরকারি চাকুরি নিয়ে বড় খবর সামনে এসেছে। রায় দিয়েছে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখের হাইকোর্ট। সেখানে তারা নিজেদের রায়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে যে, কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের একজনকে যে সহানুভূতির চাকরি দেওয়াই হবে এর কোনো মানে নেই। এক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার জন্য শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের কেও একজন চাকরি পেতে পারে। এক্ষেত্রে মৃত কর্মীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রেই চাকরি মিলতে পারে। এমন অবস্থায় চাকরি দেওয়া হলেও মৃত সরকারি কর্মীর বাড়ির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। আসলে এই বিষয়ে শুনানি হয় তখন যখন জম্মু-কাশ্মীর স্টেট হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে চাকরি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই ব্যক্তি।

WhatsApp Community Join Now

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতে থাকে শুনানি। অবশেষে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ শেখরি রায় দেন। সেক্ষেত্রে তিনি নির্দেশ দেন পরিবারের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে। সাথে মামলা খারিজ করে দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ অতি লোভ করাই হল কাল! বিরাট রায় হাইকোর্টের, মাথায় বাজ সরকারি কর্মীদের

আসলে জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে কাজ করার সময় ২০০৭ সালে মারা যান মহম্মদ আশরফ মীরের বাবা এবং ২০০২ সালে মৃত্যু হয় ইশফাক আহমেদ ভাটের বাবার। সেই হিসেবে দুজন চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাদের চাকরি পেতে দেরি হওয়াতে আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানে তারা অভিযোগ করেন বাকিরা এরকম ভাবে চাকরি পেয়ে গেলেও তাদের সাথে বৈষম্যমুলক আচরণ করা হচ্ছে। দুজনেই জানান, বাবার মৃত্যুর কারণে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কর্পোরেশন যুক্তি দিচ্ছিল তারা বহু পরে আবেদন করেছেন। শুনানির পর কোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন