ভারতীয় সেনার নয়া রূপ, এবার যুদ্ধ হবে মহাভারত স্টাইলে! চেয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব

Published on:

Indian Army

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ইতিহাসের পাতায় নজর রাখলে দেখা যায় বিভিন্ন আমলে রাজাদের রাজত্ব এবং সংস্কৃতি সমৃদ্ধ শাসনকালের নানা কাহিনী সম্পর্কে লিখে গিয়েছেন ইতিহাসবিদরা। গোটা দুনিয়ার কাছে ভারত এমন একটি দেশ যেখানে ভারতীয় সংস্কৃতি এতটাই নিপুণভাবে ফুঁটে উঠেছে যে বিশ্বের আর কোনো দেশ সেই জায়গা গ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু এখানেই থেমে নয়। এবার গোটা পৃথিবী জানবে, যুদ্ধের কৌশলেও কতটা সমৃদ্ধ ছিল প্রাচীন ভারত।

ভারতীয় সেনা বাহিনীকে প্রগতিশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়েই তাই গত বছর ‘উদ্ভব’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। দেশের প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর হাত ধরে এই প্রকল্পের উদঘাটন হয়। আর এই প্রকল্পটি মহাভারতের যুদ্ধ এবং অর্থশাস্ত্র, বেদ, পুরাণের মতন প্রাচীন গ্রন্থগুলির যুদ্ধবিদ্যার কৌশলগত দিকের ওপর গঠিত। এর একটাই লক্ষ্য। আর সেটি হল মহাভারত, বেদ, পুরাণ, উপনিষদ এবং অর্থশাস্ত্র থেকে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।

WhatsApp Community Join Now

আধুনিক ভারত গড়তে প্রাচীন ভারতের সাহায্য

আধুনিক ভারতের রক্ষাকবচ হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অতীতের ভারত। আর অতীতের ভারত সম্পর্কে জানতে হলে আমরা সকলেই বেদ, পুরাণ, উপনিষদ এবং অর্থশাস্ত্রের মতো প্রাচীন গ্রন্থগুলির ওপর নির্ভর করে থাকি। তাই বিশিষ্ট ভারতীয় এবং পশ্চিমী পণ্ডিতদের চিন্তা ভাবনা এবং প্রাচীন গ্রন্থগুলি নিয়ে গভীর গবেষণা করা হচ্ছে। আর সেই প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার ‘ভারতীয় কৌশলগত সংস্কৃতিতে ঐতিহাসিক নিদর্শন’ শীর্ষক এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে।

উদ্ভব প্রকল্প প্রসঙ্গে মনোজ পান্ডে

এদিনের সম্মেলনে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, ‘বেদ, পুরাণ, উপনিষদ এবং অর্থশাস্ত্রের মতো প্রাচীন গ্রন্থগুলি সবগুলিই আন্তঃসম্পর্কিত। অর্থাৎ, একটি গ্রন্থের সঙ্গে অপর গ্রন্থের যোগ রয়েছে। উদ্ভব প্রকল্পে আমরা এই গ্রন্থগুলির গভীর থেকে ন্যায়পরায়ণতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ খুঁড়ে আনছি। এছাড়া, মহাভারতের মহাকাব্যিক যুদ্ধ এবং মৌর্য, গুপ্ত এবং মারাঠাদের শাসনামলের কৌশল খুঁজে বের করছি। এগুলি ভারতের সমৃদ্ধ সামরিক ঐতিহ্যের রূপরেখা তৈরি করেছে।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন