শ্বেতা মিত্র: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে ফের এক নয়া ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারত তথা গোটা বিশ্ব। এমনিতেই চন্দ্রযান ৩ থেকে শুরু করে আদিত্য এল ১ এবং গগণযান মিশন নিয়ে সপ্তম আকাশে রয়েছে ইসরো। বিগত ১ থেকে দেড় বছরের এই সময়সীমার মধ্যে ভারতের গর্ব ইসরোর হাত থেকে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সব থেকে বড় কথা, চন্দ্রযান ৩ মিশনের হাত ধরে ভারতের সাফল্য সমগ্র বিশ্বের নজর কেড়েছে। এই মিশন সফল হওয়ার পর থেকেই দেশবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন বারবার জেগে উঠছিল যে চন্দ্রযান ৪ মিশন কবে লঞ্চ করবে ISRO? আপনিও কি ইসরো-র এই পরবর্তী মিশন নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই মিশন নিয়ে অবশেষে এল এক দারুণ সুখবর, যা শুনলে ভারতবাসী হিসেবে আপনিও খুশিতে ডগমগ হয়ে যাবেন।
চন্দ্রযান ৪ নিয়ে বড় খবর
কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা এবার চন্দ্রযান ৪ মিশনকে সবুজ সংকেত দেখিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে এই মিশন পরিচালনা করবে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই মিশনের জন্য ভারতের যে কত কোটি টাকা খরচ হবে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, সরকার এই মিশনের জন্য ২১০৪.০৬ কোটি টাকা খরচ করবে বলে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযান, এলভিএম-৩ এর দুটি রকেট। এছাড়া রয়েছে চন্দ্রযান-৪ এর সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য স্পেস নেটওয়ার্ক ও ডিজাইন ভেরিফিকেশন।
কী বলছেন ইসরো প্রধান?
ইসরো প্রধান ডঃ এস সোমনাথ কয়েক মাস আগেই জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান-৪ একবারে উৎক্ষেপণ করা হবে না। এটি দুটি ভাগে হবে। এরপর এর মডিউলগুলো মহাকাশে যুক্ত হবে। অর্থাৎ, ডকিং। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে সাহায্য করবে। ইসরো এর আগে এমন কিছু করেনি। চন্দ্রযান-৪-এ ৫টি মডিউল রয়েছে। এগুলি হল প্রপালশন মডিউল, ডিসপারসার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল, ট্রান্সফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। Chandrayaan 4-কে বেশ কয়েকটি ভাগে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং মহাকাশেই যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
মিশনের লক্ষ্য কী?
এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে ইসরো। মহাকাশে মডিউলগুলিকে সংযুক্ত এবং পৃথক করে, এটি উপকারী হবে যে ভবিষ্যতে, ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন (বিএএস) এই পদ্ধতিতে নির্মিত হবে। তাই জরুরি চন্দ্রযান-৪ অভিযান।