ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। সকল শ্রেণীর জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য যেমন চালু করা হয়েছে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী তেমনই বাকিদের জন্যও চালু করা হয়েছে ঐক্যশ্রী, বেকার ভাতা, রূপশ্রী ইত্যাদি। তবে এই সব প্রকল্পের মাঝে মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি। আর তাই রাজ্য সরকারের চালু করা একটি স্কিম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এর মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি মহিলা উপকৃত হন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প মূলত দুটি শ্রেণির মধ্যে হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে আগে ১০০০ টাকা করে পেতেন তবে এইমুহুর্তে তাঁরা ১৫০০ টাকা করে পান। অন্যদিকে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আগে পেত, তবে বর্তমানে এখন ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পান সরকারের তরফে। এবার এই মডেলকে নজরে রেখেই আরেক রাজ্যে মহিলাদের জন্য আনা হচ্ছে দুর্দান্ত প্রকল্প।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে নয়া প্রকল্প!
সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে এবার মহারাষ্ট্রেও বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প৷ গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা বাজেট পেশ করা হয়েছিল। আসলে এটাই ভোটের আগে শেষ বাজেট একনাথ শিন্ডে সরকারের। আর এই বাজেট পেশ করতে গিয়ে নতুন এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার৷ বলা হয় ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের জন্য মাসিক ১৫০০ টাকার ভাতা ঘোষণা করতে চলেছে একনাথ শিন্ডে সরকার৷
খুশিতে আত্মহারা রাজ্যের মহিলারা
নয়া প্রকল্পের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, এই নয়া প্রকল্পের নাম হবে ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লড়কি বহিন যোজনা’। যা জুলাই মাস থেকেই চালু হতে চলেছে৷ আর এই প্রকল্প চালানোর জন্য বছরে ৪৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। শুধু তাই নয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট পরিবারদের বছরে তিনটি করে রান্নার গ্যাস বিনামূল্যে দেওয়া হতে চলেছে পাশাপাশি রাজ্যের করের হার কমিয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোরও উদ্যোগ নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার৷