ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে ততই জনসমাজে ভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা আরও প্রকট হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেটা প্রেমের সম্পর্ক হোক কিংবা জমি বিনিময়ের সম্পর্ক। স্বাধীনতার এত দশক পরেও হিন্দু মুসলিমের এই বৈষম্য ভেদাভেদ আজও চোখে পড়ার মতো। এই আবহেই সম্প্রতি অসম সরকার হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা নিয়ে এক বড় আপডেট সামনে তুলে ধরলেন। যা নিয়ে বেশ চিন্তিত রাজ্যবাসী।
রাজ্যে রাজ্যে আসছে ‘লাভ জিহাদ’ আইন!
অনেকদিন আগে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে চালু করা হয়েছিল ‘লাভ জিহাদ’ আইন। আসলে লাভ জিহাদের মানে হল, কোনও হিন্দু ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করে বা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তার ধর্মান্তর করা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের অনেক অভিযোগ গিয়ে পড়ে কোনও কোনও মুসলিম ধর্মালম্বী ছেলের ওপরে। তবে বর্তমান সময়ে ‘লাভ জিহাদ’ বিতর্ক নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই বিতর্ক। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাত সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এই বিষয়ে। এবার পালা অসম সরকারের।
কী বলছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?
এবার অসমেও আসছে ‘লাভ জিহাদ’ আইন। তবে শুধু ‘লাভ জিহাদ’ নয় ‘জমি জিহাদ’ নামে আরও একটি আইন আনতে চলেছে। অর্থাৎ সরকারের অনুমতি ছাড়া হিন্দু ও মুসলিম এর মধ্যে জমি বেচা ও কেনা যাবে না। গতকাল অর্থাৎ রবিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘অসম সরকার জমি জেহাদ এবং লাভ জেহাদ বন্ধ করতে দুটি আইন আনছে। যদি কোনও মুসলিম কোনও হিন্দুর জমি কিনতে চায় বা কোনও হিন্দু কোনও মুসলিমের জমি কিনতে চায়, তাহলে তাদের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও লাভ জেহাদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’
তবে এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও নতুন নীতি আনতে চলেছে সরকার। যার অধীনে শুধুমাত্র অসমে জন্মগ্রহণকারীরা রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’