ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ দশম শ্রেণীর পরীক্ষা মানে মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আর সেখানেই কিনা বড় গাফিলতি ধরা পড়ল। এমন একজনের কথা জানা যাচ্ছে যিনি ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষায় পেয়েছেন ৯৯.৭% নম্বর। আর সেই নাম্বার দিয়ে পেয়ে গিয়েছেন পিয়নের চাকুরী। কিন্তু এই স্টারবয় লিখতে বা পড়তে কিছুই জানেন না! শুনতে অদ্ভূত লাগছে তাই তো? ঘটনাটা কিন্তু একেবারেই সত্যি।
এবার এইরকম ঘটনা শুনে অনেকেই মনে করতে পারেন বাংলার বুকে হয়তো কোথাও ঘটেছে এমন কিছু, কিন্তু না আজকের গল্পের নায়কের বাড়ি সুদূর কর্ণাটকে। তার নাম প্রভু লক্ষ্মীকান্ত লোকারে। ২৩ বছর বয়সী পিয়ন পেয়েছেন ৯৯.৭% নম্বর, কিন্তু লিখতে বা পড়তে পারেন না। এত বেশি নাম্বার থাকার কারণেই কোপ্পাল জেলার স্থানীয় আদালতে পিয়নের চাকরি জুটিয়ে ফেলেন তিনি।
লোকারে চাকরি পান কারণ গত ২২ এপ্রিল ২০২৪ পিয়নের নিয়োগের জন্য তার নাম আসে চূড়ান্ত মেধা তালিকায়। বর্তমানে আদালত লোকারের একাডেমিক রেকর্ড সম্বন্ধে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক পুলিশকে এই দায়ভার দিয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল মামলাটি সম্পর্কে একটি FIR দায়ের করা হয়। সেখান থেকেই জানা যায় যে, সপ্তম শ্রেণীর পর সোজা দশম শ্রেণীতে উঠে সেখানের পরীক্ষায় বসেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুনঃ OBC সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের জের, চরম পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! থরহরিকম্প রাজ্যে
তারপর মোট ৬২৫ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৬২৩ নম্বর। এত ভালো একাডেমিক নম্বর থাকার পরেও লোকারে কন্নড়, ইংরেজি বা হিন্দি কিছুই পড়তে পারেননা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তার রেজাল্ট সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বাকিরাও এই উপায়েই চাকরি পেয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া উত্তরপত্রের সাথে তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারক বলেন, এরকম প্রতারণামূলক একাডেমিক নম্বর বাকি মেধাবী প্রার্থীদের ক্ষতি করছে।