ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কৃষকদের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্প চালু করে চলেছে। এবং উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। এই প্রকল্পের অধীনে একজন ঋণগ্রাহক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই পেতে পারেন। পরবর্তীতে এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তবে এবার এই প্রকল্পের মাঝেই আরও এক নয়া প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে।
পশুপালকদের নয়া স্কিম
তবে এই নয়া প্রকল্প সাধারণ কৃষকের জন্য নয়। এই প্রকল্প আসলে পশুপালকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি আসলে যেমন কৃষকরা তাঁদের খামারে KCC-র মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পান, তেমনই পশু খামারিরা তাঁদের পশুদের যত্ন ও লালন-পালনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের KCC নিতে পারবেন। এই নয়া স্কিমের মাধ্যমে খামারচাষীদের অল্প সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবে। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশ কিছু পশুখামারিরা টাকার অভাবে পশুদের সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছেন না, তাই তাঁদের জন্য এই প্রকল্প আনা হয়েছে । তবে এই স্কিম শুধুমাত্র একটি রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। আর সেটি হল উত্তরপ্রদেশ।
কত টাকা ঋণের সুবিধা মিলবে?
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের ডেপুটি চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. আনন্দ কুমার জানিয়েছেন যে, ফিরোজাবাদে সকল পশু চাষিদের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মতো একটি পশুপালন প্রকল্প শীঘ্রই শুরু করা হতে চলেছে৷ যার মধ্যে পশুদের পরিচর্যার জন্য খামারিদের এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে। আর সেই সুবিধা পশুপালকরা তাঁদের নিকটস্থ পশুচিকিৎসা হাসপাতালে যোগাযোগ এবং আবেদন করলেই মিলবে। আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই নথি যাচাই এর পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লক্ষ লক্ষ টাকা সরাসরি খামারচাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তথা আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার এক কপি জেরক্স জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন বা RGM। এই প্রকল্প ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে দেশীয় গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য বাস্তবায়িত করা শুরু হয়েছে। এই রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশল প্রকল্প দুধের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং গ্রামীণ কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক করে তুলতেই কাজ করেছে। ২০২১ সালে থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই উন্নয়নের খাতে কাজে লাগানো হয়েছে।