ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সালটা ২০২০। সেই সময় করোনার মহামারি এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল যে গোটা বিশ্ব রীতিমত কাবু হয়ে গিয়েছিল। এই রোগে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় লাখ লাখ মানুষ। গোটা বিশ্ব পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। সারাক্ষণ ধরে শ্মশানে শ্মশানে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। একের পর এক ভেরিয়েন্ট যেন ভয়ংকর আকার নিয়েছিল। যদিও বা এইমুহুর্তে তার দাপট একেবারে নেই বললেই চলে কিন্তু আতঙ্ক এবং ভয়টা আজীবন থেকে গেছে সকলের মনে। আর এই আবহেই এবার আরও এক ভয়ংকর বার্তা নিয়ে এসেছে WHO। যা ফিরিয়ে দিতে চলেছে সেই ২০২০ সালের স্মৃতি।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা WHO এর!
গোটা বিশ্বে ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স বা Monkey Pox। গত ৩ বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মাঙ্কি পক্স ফের ভয়ংকর আকার ধারণ করল। সূত্রের খবর, গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে এমপক্সের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে ১৪ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৪ জনে। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO। আর এই প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল WHO।
২০২৪ এ ভয়াবহ আকার ধারণ এই রোগের
জানা গিয়েছে মূলত ১৫ বছরের কম বয়সি কিশোরী এবং শিশুদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের প্রাদূর্ভাব বেশি রয়েছে। কঙ্গো, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডা সহ আফ্রিকার অনেক দেশে দ্রুত বাড়ছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এর আগে ২০২২ সালে মাঙ্কি পক্স এর বাড়বাড়ন্ত বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। সেই সময় বিশ্বের ১১৬টি দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ এর। আর পর এবার ২০২৪ সালে ফের মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হল।
এই জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে WHO এর মহাপরিচালক ড: টেড্রোস আধানম জানান, করোনার সময় যেভাবে সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছে। সেখানে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে হলে আন্তর্জাতিক স্তরে সকলকে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এইমুহুর্তে আফ্রিকান দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে বিশাল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত। আতঙ্কের বিষয় হল এই যে সেখানকার মানুষ বাণিজ্যের স্বার্থে হোক কিংবা শিক্ষার নিরিখে প্রায়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যান। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।