ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দুর্মূল্যের বাজারে যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন সোনার দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। এদিকে নির্বাচনের আবহে বিরোধীদের কাছে ক্রমেই যেন এই মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাতেই সাধারণ মানুষের চিন্তা যেন বেড়েই চলেছে। তবে এবার সেই সমস্যায় লাঘব টানতে ময়দানে নেমেছে মুকেশ আম্বানি। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তাহলে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
সূত্রের খবর, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল পাচ্ছিল। প্রথম দিকে ভারত তেলের ওপর ভালো ছাড় পেয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে অপরিশোধিত তেলের ওপর ছাড় কমেছে। অর্থাৎ আগে যেখানে রাশিয়া প্রতি ব্যারেলে ১০ ডলার ছাড় দিচ্ছিল সেখানে এখন ভারত প্রতি ব্যারেলে ৮ ডলার ছাড় পাচ্ছে।
কিন্তু কেন এই ছাড় দেওয়া হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই কারণে তারা পণ্য রপ্তানি করতে পারছিল না। সেই সময়ে অপরিশোধিত তেলের ওপর বিশাল ছাড় দিয়েছিল রাশিয়া। তখন ভারত তেল আমদানির ক্ষেত্রে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছিল। কিন্তু এখন ভারতের মুনাফা কমেছে। কারণ রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের ওপর ব্যারেল প্রতি ছাড় ৪ ডলারে নেমে গেছে।
সরকারকে সাহায্য মুকেশ আম্বানির
তাই পেট্রোল ডিজেলের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত সরকার চায় যে এইমুহুর্তে দেশের বেশিরভাগ শোধনাগারগুলি তাদের সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করুক। এবং সেটা যেন স্থিতিশীল মূল্যে কেনা হয়। তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে দেশের অর্থনীতি রক্ষা পাবে। তাই এই সংকটে ভারত সরকার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে একত্র হতে বলেছে। এবং সর্বোচ্চ ছাড় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলেছে। সেই কারণে মুকেশ আম্বানি ঠিক করেছেন রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল পেতে সরকারি তেল কোম্পানিগুলিকে সাহায্য করতে পারেন।