মোবাইলের লাইটে অস্ত্রোপচার, মৃত্যু মা ও সন্তানের! কাঠগড়ায় হাসপাতাল সহ বিদ্যুৎ বিভাগ

Published on:

Mumbai

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অবিশ্বাস্য কাণ্ড! মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে অস্ত্রোপচার চলছে এক গর্ভস্থ মহিলার! পরিণতি হল মর্মান্তিক। দিন যত এগোচ্ছে ততই তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড ভাঙছে। এই গরমে একেতেই জীবন বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর, তার উপর পাওয়ার কাট হচ্ছে অহরহ। টানা এক থেকে তিন ঘণ্টা থাকছে না ইলেকট্রিক পরিষেবা। গরমে বেহাল দশা বাড়ি, অফিস থেকে শুরু করে হাসপাতাল গুলিতেও। তবে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এল এক হাসপাতালের নাম। যেখানে আলোর অভাবে সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার না হওয়ায় গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হল। এমনকি বাঁচানো গেল না প্রসূতিকেও।

মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে অস্ত্রোপচার

ঘটনাটি কোনো গ্রামীণ এলাকায় ঘটেনি। এটি ঘটেছে দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। সেখানকার বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এর অন্তর্গত একটি হাসপাতালে ঘটল হাড়হিম করা এই ঘটনা। জানা গিয়েছে সেই পুরসভার বার্ষিক বাজেট থাকে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এমনই এক পুরসভার আওতায় থাকা এই হাসপাতালের বেহাল দশা এবং চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেখে অবাক আমজনতা।

WhatsApp Community Join Now

মর্মান্তিক ঘটনা!

সূত্রের খবর, বছর ছাব্বিশের সাহিদুন নামে এক গর্ভস্থ মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল গত সোমবার। তড়িঘড়ি তাঁকে সেই অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ওইদিন সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে পড়ে যে সেখানে তিন ঘণ্টা ধরে জেনারেটরও চালানো হয়নি। এই অবস্থাতেই সাহিদুনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু থিয়েটারে লাইট এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় মোবাইলের লাইট। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসকরা জানান, প্রসবের সময় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে প্রসূতিও মৃত্যু ঘটেছে।

ঘটনায় প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ জানান। এবং এই ঘটনার বিচার চান। অন্যদিকে সেই হাসপাতালে ওইদিন আরও এক যুবতীর অস্ত্রপাচার হয় ফোনের লাইট দিয়ে। সেই পরিবারের অভিযোগ, যুবতীর অপারেশনের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তার আগেই তাঁর পেট কাটতে শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা। প্রমাণ হিসাবে ছবি ও ভিডিও তুলে ধরেছেন BMC-র কাছে। এরপরই BMC-র তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন