ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে শরিকদের সমর্থনে অবশেষে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে যোগদান করলেন নরেন্দ্র মোদী। আর প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণের পরেই ভারতবাসীর উদ্দেশে একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেই চলেছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক ছিল। আর সেই বৈঠকের মাধ্যমেই উঠে এল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
মুখোমুখি মোদী-হাসিনা!
গত শনিবার অর্থাৎ ২২ জুন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে মোট ১৩টি উদ্যোগের ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সেই ঘোষণায় এক নম্বরে উঠে এল রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ। অবশেষে ৭৭ বছর পর দুই রাষ্ট্রের এই মহান সিদ্ধান্তে চোখে জল চলে এল দুই বাংলার মানুষের। ইতিহাসের পাতায় নজর দিলে দেখা যায় অবিভক্ত বাংলায় ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ হয়ে রেলপথে কলকাতার সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পর সেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলাচল চালু করতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এমনকি রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলাচল চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে বারবার দাবি জানিয়েছেন রাসিক মেয়র। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেতে রাজশাহী মানুষদের।
রেল ব্যবস্থায় ভারত বাংলাদেশের এক নয়া উদ্যোগ!
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ, মালদহ, ফারাক্কা, কাটোয়া, খাগড়াঘাট হয়ে কলকাতার হাওড়ায় রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। যার জন্য সর্বমোট ৪২৫ কিলোমিটার পথ দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। তাই এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘণ্টা। কিন্তু অন্যদিকে গেদে সীমান্ত এর মাধ্যমে ২১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে কলকাতা যেতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। তবে এইমুহুর্তে রাজশাহী থেকে কলকাতার ট্রেন রুটের ঘোষণা করলেও এখনও ট্রেনের রুট নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও উপায় বের করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ৩০০ টাকা কমে গ্যাস সিলিন্ডার! LPG-র দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, কীভাবে পাবেন?
ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান জানান, ‘রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন চালুর জন্য আমরা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছি। অবশেষে এই ট্রেন চালু হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তকে আমরা গোটা রাজশাহীবাসী সাধুবাদ জানাই। এবার থেকে রাজশাহী অঞ্চলের অসংখ্য রোগী এই ট্রেনে স্বস্তির সঙ্গে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারবে। তাদের জন্য এই ট্রেন যে কতটা উপকারে আসবে, সেটা বলে বোঝানো কঠিন।’