ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ২২ জুন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে মোট ১৩টি উদ্যোগের ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সেই ঘোষণায় এক নম্বরে উঠে এল রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ। সেই সময় দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল-রেল ট্রানজিটের নতুন সমঝোতা। সেই সমঝোতায় বলা হয়েছে রেলপথে বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটানে পাঠানোর সুবিধা দেবে ভারত।
রেল রুটে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট নিয়ে বড় আপডেট
সূত্রের খবর, ভারতীয় রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংযোগের জন্য ৯টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি বর্তমানে চালু রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। দুই দেশের মধ্যে চলে মালবাহী ট্রেনও। এবার নতুন যে রেল ট্রানজিট তৈরি হচ্ছে সেটা একটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে অন্য একটি ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে আবার ভারতে প্রবেশ করবে। যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত হবে।
কী বলছেন বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব?
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর জানান, ‘বর্তমানে দু-দেশের মধ্যে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন দুই চলাচল করছে। বলা বাহুল্য এসব ট্রেন থেকে বাংলাদেশ রেল সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করে আসছে। ভবিষ্যতে সেই সিদ্ধান্ত আরও বাস্তবায়িত হবে। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ট্রেন হলদিবাড়ী থেকে যাবে ভুটান সীমান্তবর্তী ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত। এর ফলে গেদে-দর্শনা সীমান্ত থেকে হলদিবাড়ী-চিলাহাটী রুটকে সংযুক্ত করা হবে। এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সমঝোতা আরও শক্ত বন্ধনে আবৃত হবে। জানা গিয়েছে গত ১ জুলাই ভারতীয় রেল সংস্থা একটি রুট ম্যাপ বাংলাদেশ রেলের কাছে প্রদান করবেন। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বিশেষ বৈঠক হবে। আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের মধ্যে ভারতকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
জানা যায়, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলাচল চালু করতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এমনকি রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চলাচল চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে বারবার দাবি জানিয়েছেন রাসিক মেয়র। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেতে রাজশাহী মানুষদের।
আরও পড়ুনঃ চলবে না মোটর ট্রেনিং স্কুলের কারসাজি, লাইসেন্স পাওয়ার নয়া নিয়ম আনল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রসঙ্গত, এইমুহুর্তে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে দর্শনা-গেদে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে কলকাতা পর্যন্ত চলাচল করে। আবার বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টারচেঞ্জ দিয়ে কলকাতায় চলাচল করছে। এবং মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে চিলাহাটী-হলদিবাড়ী ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করে আসছে। তবে আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হতে চলেছে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।