নিজের টাকা দিয়ে বাঁচালেন শতাধিক মানুষের চাকরি! মানবতার অনন্য নজির রতন টাটার

Published on:

Ratan Tata

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রতন টাটা! এই একটা নাম অনেকটাই কাফি গোটা দেশের মানুষের কাছে। এই বর্ষীয়ান শিল্পপতিকে চেনে না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শুধু যে তিনি বিখ্যাত শিল্পপতি তা কিন্তু নয়। তাঁর দয়ালু মনোভাব এবং দেশের মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া একাধিক বড় পদক্ষেপ বরাবর উদারতার তকমা দিয়ে এসেছে। তাইতো দিন দিন সমাজে এঁনার ফ্যান ফলোয়িং বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি রতন টাটা আরও এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। রাতারাতি প্রায় ১১৪ জন চাকরিহারাদের জীবিকা রক্ষা করলেন।

ঘটনাটি কী?

চলতি বছরের ২৮ জুন, টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস বা TISS হঠাৎ করেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ১১৪ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেয় এই সংস্থা। যার মধ্যে ছিলেন ৫৫ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও ৬০ জন অশিক্ষক কর্মী। হঠাৎ করে এমন চাকরি ছাঁটাইয়ের নোটিশে ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হতে হয় চাকরীহারাদের। কী করবেন, কোথায় যাবেন এসব ভেবেই ঘুম উড়েছে সকলের। কিন্তু এই অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে ভগবানের মত আশার আলো দেখিয়ে দিলেন স্বয়ং রতন টাটা।

WhatsApp Community Join Now

বিবৃতিতে কী জানানো হয়?

TISS অর্থাৎ টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস সংস্থার চাকরি ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর সংস্থাটিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করে টাটা এডুকেশন ট্রাস্ট বা TIT। TATA-র তরফ থেকে পাওয়া এই আর্থিক সাহায্য TISS এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘TIT এর সঙ্গে আলোচনায় ছাঁটাই সংক্রান্ত বিষয়ে একটা সমাধান সূত্র পাওয়া গিয়েছে। TIT আমাদের প্রকল্প, ফ্যাকাল্টির অনুষ্ঠান এবং অশিক্ষক কর্মীদের বেতন বাবদ যাবতীয় খরচ-খরচা বহন করতে রাজি হয়েছে। ফলে চাকরি হারাতে চলা কর্মীরা নিশ্চিন্তে তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। TIT থেকে আর্থিক অনুদান এলেই সকলের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুনঃ ব্রহ্মসের থেকেও শক্তিশালী! বিশ্বের সবথেকে মারক অস্ত্র বানাল ভারত! ঘাম ছুটবে চিন, পাকিস্তানের

১৯৩৬ সালে পথচলা শুরু করেছিল দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশাল ওয়ার্ক। মাত্র ৮ বছরের মাথায় নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস বা TISS। ১৯৬৪-তে একে স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে UGC। কিন্তু গত কয়েক মাসে এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। যার দরুন TIT থেকে যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অনুদান মেলে, তার জন্য গত ৬ মাস ধরে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে TISS। যদিও নানা কারণে সেই টাকা সঠিক সময়ে আসেনি। যার ফলে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই সংস্থা।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন