ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেখতে দেখতে একটা গোটা মাস পার। কিন্তু এখনও তিলোত্তমা কাণ্ডে ১ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া কেউই গ্রেফতার হল না। তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে CBI। তাইতো বিচারের দাবিতে রাজ্যের চতুর্দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং আন্দোলন চলছে। আর এহেন জনগর্জনের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলা শুরু হল ফের আরও একবার। তাকিয়ে গোটা দেশ।
CCTV ফুটেজ নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বালকে প্রশ্ন
এদিন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে CBI। তবে সেটি কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। কারণ এখনও তদন্তের যা অগ্রগতি চলছে। তাই যা রিপোর্ট আপাতত করা হয়েছে তা নিয়েই রিপোর্ট জমা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা CBI এর রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়েন। আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বালকে প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করা হয়, CCTV ফুটেজে দেখা গেছে অভিযুক্ত কখন ঢুকছে বা কখন বেরোচ্ছে। ভোর সাড়ে ৪টার পরের CCTV ফুটেজও কি CBI কে দেওয়া হয়েছিল? জবাবে CBI এর তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
ফের ফরেনসিক তদন্তের আর্জি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার
আর এই প্রশ্নালাপের পরই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার সময়ে নির্যাতিতার দেহ যখন সবার নজরে পড়ে তখন প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় তিনি পড়ে ছিলেন। জিনস ও অন্তর্বাস শরীর থেকে অনেকটা দূরে ছিল। তার পর যে সব নমুনা সংগ্রহ করা হয় তা কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে কে নমুনা সংগ্রহ করেছে তাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইছি, ওই নমুনা ফের ফরেনসিক তদন্তের জন্য দিল্লির এইমস বা অন্য কোনও সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হোক।’
এই আবহেই প্রধান বিচারপতি পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ জারি করেন। জানা গিয়েছে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার মধ্যে CBI কে ফের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বললেন, “ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। তদন্তের আবার স্টেটাস রিপোর্ট দিন।”