ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এইমুহুর্তে রেল দুর্ঘটনা বেশ কমন ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। প্রতি মাসে রেল দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত জুন মাসেও শিয়ালদহের দিকে যাওয়া পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তাও আবার দুই দুইবার। এদিকে অতি সম্প্রতি চক্রধরপুরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হাওড়া-মুম্বই মেল। দুটি ঘটনাতেই একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এবার সেই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও একবার রেল দুর্ঘটনার প্রতিচ্ছবি উঠে এল সাধারণ মানুষের কাছে।
ফের রেল দুর্ঘটনা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ শনিবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়ে যায় সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। জানা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত সবরমতী এক্সপ্রেস এর নম্বর হল ১৯১৬৮। রেল সূত্রের খবর, রেল লাইনের ওপর একটি বোল্ডার ছিল। আর সেই বোল্ডারের সঙ্গেই ধাক্কা লাগে ইঞ্জিনের। যার দরুন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই ইঞ্জিন। আর সেটিকেই রেল দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে মনে করছে রেল।
চালু হেল্পলাইন নম্বর
ইতিমধ্যেই রেল ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্তত ২০টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবং ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩০০ জন। যদিও এইমুহুর্তে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে রেলের তরফে। নম্বরগুলি হল- ০৫৩২-২৪০৮১২৮, ০৫৩২-২৪০৭৩৫৩, ০৫৩২-২৪০৮১৪৯। জানা গিয়েছে এইমুহুর্তে রেল যাত্রীদের কানপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল।
#WATCH | Kanpur, Uttar Pradesh: Sabarmati Express (Varanasi to Ahmedabad) derailed near Kanpur at 02:35 am today. The engine hit an object placed on the track and derailed. Sharp hit marks are observed. Evidence is protected, which was found near the 16th coach from the loco. As… pic.twitter.com/VaSFhweRL8
— ANI (@ANI) August 17, 2024
এদিকে গত মার্চ মাসেও বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল সবরমতি এক্সপ্রেস। আজমেরের আগে মাদার স্টেশনের কাছে মাঝরাতে ঘটে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ জানা গিয়েছে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী ট্রেনকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় দ্রুত গতিতে আসা সবরমতী এক্সপ্রেস ৷ ঘটনায় এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।