ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: তৃতীয়বার দিল্লির কুর্সিতে বসেই মোদী সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। দেশের উন্নতির কাজে যাতে কোনো প্রকার বাঁধা না আসে তাই সেইদিকে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। শুধু কেন্দ্র প্রতিটি রাজ্যেও ঠিক একই চিত্র ফুটে উঠেছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকার একেবারে নড়েচড়ে বসেছে। সম্প্রতি রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল সরকার। যা শুনে মাথায় হাত দাপুটে নেতাদের।
সরকারের বড় সিদ্ধান্ত
এবার থেকে মন্ত্রীদের আয় কম বা বেশি যাই থাকুক না কেন, নিজের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে দিতে হবে করে। গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ ক্যাবিনেটের তরফে রাজ্যের মন্ত্রীদের উদ্দেশে এক চরম সিদ্ধান্ত পাশ করানো হয়। রাজ্যের নগর প্রশাসন মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সেই সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব নিজেই ক্যাবিনেট বৈঠকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এবার থেকে রাজ্য সরকার মন্ত্রীদের করের টাকা আর দেবে না। এবং এই পরামর্শের মাধ্যমেই ১৯৭২ সালের নিয়ম বাতিল করা হল। পাশাপাশি তিনি এও বলেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার এই করগুলি প্রদান করার পরিবর্তে মন্ত্রীদের ভাতার ওপর তাঁদের নিজস্ব আয়কর প্রদান করা উচিত।
এদিকে বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলগুলির সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জিতু পাটোয়ারি বলেছেন, যদি এই নিয়মই বলবৎ হয় তাহলে সরকারকে বিমান, সাজানো বাংলো এবং বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ওপর অযথা ব্যয় না করা উচিত।
কী নিয়ম ছিল?
আসলে ১৯৭২ সালে মধ্যপ্রদেশে মন্ত্রীদের বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত আইনের ধারা ৯ অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে অনেক মন্ত্রী রয়েছেন যাঁদের আর্থিক অবস্থা একদমই ভালো নয়। এমনকি তাঁদের পক্ষে আয়করের বোঝা বহন করার ক্ষমতাও নেই, তাই সেই সমস্যা মেটাতে কোনও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিবের প্রদেয় সমস্ত ভাতার জন্য কোনও আয়কর ধার্য করা হতো না। কিন্তু এবার সেই আইনের সুবিধা বন্ধ করল বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুনঃ অবসর রোহিতের, এরপর কে হবেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক? লিস্টে ৩ প্লেয়ারের নাম
তবে শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়। এর আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সরকার মন্ত্রীদের কর প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নিয়ম সংশোধন করেছে। যেমন ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা আইন সংশোধন করে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য আয়কর প্রদান করা হয় অব্যাহতি দেয়। হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রিসভা ২০২২ সাল থেকে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের জন্য আয়কর প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়।