২৭০০০০০০০০০০ বিনিয়োগ রতন টাটার! মিলবে ২৭ হাজার চাকরি, কপাল খুলল রাজ্যের বেকারদের

Published on:

ratan tata semiconductor

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে টাটা সন্স এর কথা। শুধু খবরেই এগিয়ে নেই, দেশে চিপ-নির্মাতা সংস্থার মধ্যেও এগিয়ে রয়েছে টাটা সন্স। এবার চিপ নির্মাণে আরও বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে টাটা। অসমে এর নতুন সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে তুলতে চলেছে টাটা। গড়ে উঠতে চলেছে বিপুল কর্মসংস্থান। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা পড়ে নিন বিস্তারিত।

অসমে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নির্মাণ TATA- র!

চলতি বছর, ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির জন্য অনুমোদন মিলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে। আর তাই দেরি না করে ঠিক ৫ মাসের মধ্যেই এর নির্মাণকার্য শুরু হয়ে যায়। যা ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এবার থেকে যে কোনও রকম চিপ তৈরি হবে ভারতের এই কারখানাতে। যেতে হবে না বিদেশে। আশা করা যাচ্ছে সমস্ত পরিকল্পনা সঠিক উপায়ে বাস্তবায়িত হলে সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে ভারতবর্ষ সকলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আসবে এই কারখানা। তাও আবার TATA- র দৌলতে। জানা গিয়েছে এই কাজের জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত NIT থেকে প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েদের গুরুত্ব দেওয়া হবে এই কারখানাতে। তৈরি হবে বড় কর্মসংস্থান।

WhatsApp Community Join Now

TATA সনসের চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরন জানান, কারখানা নির্মাণের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল নিয়োগ প্রার্থী সকলেই আসামের বাসিন্দা। তবে শুধু ১০০০ নয় পরবর্তীকালে আরও ১৫,০০০ চাকরি তৈরী হবে। আর TATA- র কারখানার উপর নির্ভর করেই আরও ১২,০০০ কাজ তৈরী হবে। জানা গিয়েছে এই কারখানায় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকেও একাধিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ কারখানায়।

ভূমি পুজোয় সামিল অসমের মুখ্যমন্ত্রী

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার পর পরই গত সপ্তাহের শেষের দিকে মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে সেমিকন্ডাক্টর চিপ কারখানার ভূমি পূজা সম্পন্ন হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যের কাছে এটি একটি সোনালি মুহূর্ত। অসমের মানুষ সবসময় টাটা গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। আর পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেন যে এই কারখানা তৈরিতে এবং পরিচালনার কাজে টাটা গ্রুপের কোনও সমস্যা হবে না।

প্রসঙ্গত, শুধু অসমে কর্মসংস্থান গড়ে উঠছে, তা কিন্তু নয়। আর পাশাপাশি গুজরাটের ঢোলেরায় ভারতের প্রথম ‘ওয়াটার ফ্র্যাবিকেশন’ কারখানা তৈরি করছে টাটা ইলেকট্রনিকস। সেই কারখানা চালু হয়ে গেলে প্রতি মাসে ৫০,০০০ ওয়েফার তৈরি করতে পারবে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন