ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কিছুদিন আগেই এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছিল যে ভারতের জনসংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে চীনের জনসংখ্যাকে। কিন্তু সেই রিপোর্টের কোনো সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে এবার সেই বিষয়েই নিশ্চিত হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। কারণ প্রায় ১৩ বছর পর অবশেষে ভারতবর্ষে শুরু হতে চলেছে জনগণনা। বিস্তারিত জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ে নিন।
আসলে সারা দেশে মোট কতজন মানুষ বসবাস করছেন, এবং তাদের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলার অনুপাত কত, কতগুলি শিশু রয়েছে, শিশুদের মধ্যে ছেলে এবং মেয়ের সংখ্যা কত ইত্যাদি সমস্ত গণনার জন্যেই মূলত জনগণনা হয়ে থাকে। জনগণনা করলে সারাদেশে মোট বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। আর পাশাপাশি এই জনগণনা সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সাধারণত ভারতবর্ষে নিয়ম অনুসারে প্রতি ১০ বছরে একবার করে জনগণনা হয়ে থাকে। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারের জন্যেও জনগণনা হয়নি। আসে বেশ কিছু কারণে গত কয়েকবছর এই জনগণনা করা হয় ওঠেনি যার মধ্যে করোনা মহামারি ছিল অন্যতম। এদিকে ১০ বছরের হিসাব করলে দেখা যায় যে ২০১১ সালের পর ২০২১ সালেই প্রথাগতভাবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। তারপরে অতিমারির প্রকোপ শেষ হলেও বিগত প্রায় তিন বছর ধরে জনগণনা স্থগিত রয়েছে। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পর ২০২৪ সালে শুরু হতে চলেছে ভারতবর্ষের জনগণনা।
কবে হবে জনগণনার কাজ?
জানা গিয়েছে, আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকেই পুনরায় ভারতবর্ষের জনগণনা অর্থাৎ আদমশুমারি হতে চলেছে। এক্ষেত্রে, ভারতবর্ষে অবস্থিত প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করা হবে। যেহেতু প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এই জনগণনার কাজ করতে হবে তাও এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে এই জনগণনা। এবং সর্বোচ্চ ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে ।
প্রয়োজনীয় তথ্য
সূত্রের খবর বাড়িতে বাড়িতে জনগণনা করার সময় বিশেষ কয়েকটি প্রশ্নোত্তর পর্ব ছাড়া প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র লাগবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে যারা আপনাদের বাড়িতে জনগণনা করতে আসবে অনেক সময় তারা ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড দেখতে চাইবে। তাই যথারীতি এই দুই এর মধ্যে যেকোনো একটি তথ্য নিয়ে রাখা ভালো।