ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের পর বার্ষিক এবং মাসিক রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়তে পারে বলে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল দেশের বৃহত্তম দুই টেলিকম সংস্থা Jio এবং Airtel। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দাম বাড়তে পারে মোবাইল রিচার্জের। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
সম্প্রতি ৫জি স্প্রেকটাম নিলামের পরেই টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে ট্যারিফ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল থেকেই Jio, Airtel ebong Vi রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দিল টেলিকম সংস্থাগুলি। যার ফলে রিচার্জ প্ল্যানের এই দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত মাথায় হাত গ্রাহকদের। তাই টেলিকম সংস্থাগুলির ‘বাড়বাড়ন্ত’ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে।
হস্তক্ষেপ করতে নারাজ TRAI!
কিন্তু সাধারণ এর সেই দাবিতে খানিক ছাই দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা TRAI। সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে নানা মন্তব্য করেছিল TRAI এর আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, ‘টেলিকম সেক্টরে এখনও যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। যার ফলে পরিস্থিতি এতটাও জটিল নয় যে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। হয়তো খরচ বাড়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়বেন গ্রাহকরা। কিন্তু এটাও দেখতে হবে রিচার্জের খরচটা বাড়ানো হচ্ছে ৩ মাস পর।’
টেলিকম কোম্পানির বাড়বাড়ন্ত এর কারণ
এছাড়াও ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, টেলিকম সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে খরচ বাড়ালে তাতে সরকারের হস্তক্ষেপের জায়গা থাকে না। সরকার শুধু বলতে পারে তাঁদের পরিষেবা নিয়ে।আসলে বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে চারিদিকে অপ্রত্যাশিত দামবৃদ্ধি টেলিকম দুনিয়ায় একের পর এক ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে এবং গ্রাহকদের আকর্ষণের রেসে ক্রমে পিছিয়ে পড়েছে অনেক কোম্পানি। যার দরুন গ্রাহকদের সামনে মূলত তিনটি টেলি কোম্পানি অর্থাৎ Jio, Airtel এবং Vi এখনও তাঁদের রাজত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ফলত গ্রাহকরা এখন বিকল্প উপায়ের সন্ধানে দিন গুনছে।