ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভারতীয় রেল মানুষের সুবিধার্থে দিনের পর দিন যে সকল পরিকল্পনা করে চলেছে, তার ফলে অনেক মানুষ নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। সেই কারণে ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে ভারতীয় রেল এক নয়া উদ্যোগ বা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে। যার মাধ্যমে একদিকে যেমন রেললাইনের চাপ কমবে তেমনই যাত্রীদেরও বেশ সুবিধা হবে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি করিডরের উপর থেকে চাপ কমাতে নেপালের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। এদিকে রেল সূত্রে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে নেপালের মধ্যে দিয়ে যে লাইন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা আসলে পশ্চিমবঙ্গের নিউ মাল জংশন এবং বিহারের জোগবানিকে যুক্ত করবে। যার ফলে ট্রেনটি বিরাটিনগরকে ছুঁয়ে নিউ মাল জংশন থেকে জোগবানিতে পৌঁছাতে পারবে খুব সহজেই।
দূরত্বের পরিকাঠামো
নিউ মাল জংশন এবং বিরাটিনগরের মধ্যে ১৯০ কিলোমিটার রুট রয়েছে। ইতিমধ্যে ‘ফাইনাল লোকেশন সার্ভে’-র প্রস্তাবে অনুমোদন পড়ে গিয়েছে। যদি সেই অনুমোদন গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে তাহলে বিহারের গালগালিয়া, নেপালের ভদ্রপুর এবং নেপালের কাজলি বাজারের মধ্যে যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেজন্য আরও ১২.৫ কিলোমিটার অংশে রেললাইন পাততে হবে। এদিকে দেখা গিয়েছে, বিহারের জোগবানি থেকে নেপালের বিরাটনগরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাইন পড়বে ভারতে।
অর্থাৎ ১৮.৬ কিমি লাইন পাতা হচ্ছে ভারতে। আর ১৩.১৫ কিমি লাইন পাতা হবে নেপালে। আর এই আবহেই বিহারের বাথহানা থেকে নেপালের কাস্টমস ইয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় ৭.৭৪ কিমি লাইনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে আশা করা হচ্ছে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে দিয়ে ১৪টি ‘ফাইনাল লোকেশন সার্ভে’-র প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কী বলছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এই নয়া পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে শিলিগুড়ি করিডরের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে এইমুহুর্তে উত্তর-পূর্ব ভারতে যাওয়ার জন্য প্রতিটি ট্রেনকে আলুয়াবাড়ি রোড ছুঁয়ে যেতে হয়। ফলে ওই অংশে প্রচুর চাপও পড়ছে। তাই বিকল্প রুটের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।