ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকার মুখোমুখি হয়েছে একাধিক দুর্নীতির। রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে গোরুপাচার কাণ্ড, কয়লাপাচার কাণ্ড ইত্যাদি কলঙ্ক লেগেই রয়েছে রাজ্যে। এমনকি বাদ যায়নি শিক্ষা ক্ষেত্রেও। SSC এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ক্ষেত্রেও হয়েছে নানা দুর্নীতি। যার দরুন এখনও জেলে বন্দি রয়েছে বিশেষ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতারাও। সম্প্রতি SSC নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট একদিনেই চাকরি কেড়ে নিয়েছিল প্রায় ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর। বাতিল করে দিয়েছে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল, তা নিয়ে এখনও রাজ্য রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে আছে। তবে এর মাঝেই হাইকোর্ট নিল এক বড় সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে এইমুহুর্তে শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ৮৭,৭২২। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট। নিশ্চয়ই ভাবছেন রাজ্যে এইমুহুর্তে যেখানে শিক্ষক নিয়োগের মামলা চলছে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা কিভাবে সম্ভব? আসলে এটি পশ্চিমবঙ্গে নয়, ঘটনাটি বিহারের। শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে, ৮৭,৭২২ টি পদের জন্য শূন্যপদ ছিল। গত ১৫ মার্চ BPSC পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় পেপার ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০ মার্চ বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন তৃতীয় পর্বের সেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে।
তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা বাতিল
BPSC-র পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, EEU অর্থাৎ অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিট জানিয়েছে যে ১৫ মার্চ যেই দুই শিফটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল, সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই এক প্রশ্নপাঁচার চক্রের কাছে পৌঁছেছিল। তাই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে সেই পরীক্ষা আবার ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ প্রার্থী TRE-৩ ফর্ম পূরণ করেছিল।
শিক্ষকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
অন্যদিকে সম্প্রতি স্কুলের অতিথি শিক্ষকের একাংশ পাটনা হাইকোর্টে একটি মামলা করে। যেখানে তাঁদের অভিযোগ, বাকি শিক্ষকদের মতন তাঁদেরকেউ ওয়েটেজ দেওয়া হোক। এবার এই বিষয়েই সম্প্রতি হাইকোর্ট আদেশ জারি করল। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে, অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা ওয়েটেজ পাচ্ছেন। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন দ্বারা পরিচালিত শিক্ষক নিয়োগে, তারা প্রতি বছরের ভিত্তিতে পাঁচ নম্বরের গুরুত্ব পায়। অতিথি শিক্ষক এবং অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা উভয়েই একই ভাবে পাঠদানের কাজ করেন। তাই অতিথি শিক্ষকদেরও ওয়েটেজ পাওয়া উচিত।