মৃত ২০, ঘরছাড়া ১ লাখেরও বেশি মানুষ! ত্রিপুরার জন্য ৪০ কোটির অনুদান ঘোষণা অমিত শাহের

Published on:

tripura

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভয়াবহ বৃষ্টির জেরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার মধ্যে ত্রিপুরার অবস্থা অতি সংকটজনক। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গোটা অঞ্চলে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। আর এই সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বেড়েই চলেছে। তবে শেষ আপডেট অনুয়ায়ী ভয়াবহ বন্যায় গত কয়েকদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার জনকে। যদিও ধীরে ধীরে কিছু নদীর জল নামছে। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায় গোমতী বাদে সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচে চলে গিয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি খানিকটা উন্নতির দিকে গিয়েছে। গত কয়েক দিনের আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী গত ১৯ আগস্ট ২৮৮.৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছিল। আর তাতেই ত্রিপুরার ৮ জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জেলায় জেলায়। যা ইতিহাসে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তেমনই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সেখানকার মানুষদের।

WhatsApp Community Join Now

বন্যা পরিস্থিতিতে আপাতত বন্ধ স্কুল!

সরকারের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার কোটির মতো মানুষ বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পৌঁছেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সেরাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। এদিকে উদ্ধারকার্যে গোটা ত্রিপুরায় ঢালাও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার

জানা গিয়েছে, প্রায় ৫৫৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যে ৪০ কোটি টাকার প্যাকেজ কেন্দ্রের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরাকে। ১১টি NDRF-র দল ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার ৪ টি হেলিকপ্টার নেমেছে ত্রাণের কাজে। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্র বন্যা কবলিত রাজ্যের জন্য ৪০ কোটি টাকা ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। তবে হাওয়া অফিস আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনো সুখবর দিলেন না।

IMD এর শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এখনও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই ত্রিপুরা বাসীদের। ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে আগামী বেশ কয়েকদিন। আজও দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে ত্রিপুরার বহু প্রান্তে। আপাতত আগামীকাল পর্যন্ত রয়েছে ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন