যুদ্ধ নিয়ে ভয়াবহ আবহাওয়া ছড়িয়েছে সারাবিশ্বে। একদিকে ইউরোপের দোরগোড়ায় যুদ্ধ চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে তো কিছুদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য অর্থাৎ মিডল ইস্ট। মিডল ইস্টে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যেকার যুদ্ধ কিছুটা শান্ত হয়েছে কি হয়নি এসবের মধ্যে আবার নতুন করে যুদ্ধের বাতাবরণ ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ওপর মিসাইল এবং ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করেছে ইরান।
রবিবার নাগাদ ইজরায়েলের ওপর প্রায় ৩০০ খানা মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এরপর তারা তাদের মিশন সম্পন্ন বলে ঘোষণাও করে। ইজরায়েলের তরফে খবর আসে, এই হামলায় তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আয়রন ডোম থেকে শুরু করে মার্কিন এবং ব্রিটিশ সামরিক ব্যবস্থা বাঁচিয়ে দেয় তাদের।
এদিকে হামলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি নাহলেও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয় ইজরায়েলও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গভীর রাতে বৈঠকে বসে সেদেশের ‘ওয়ার ক্যাবিনেট’। সেখান থেকে যা জানা যাচ্ছে তা হলো যে, ইরানের ওপর বড়সড় হামলা চালানোর পক্ষেই সায় দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ক্যাবিনেট। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এটা জানা যায়নি কীভাবে এবং কবে হামলা চালানো হবে।
জবাবি হামলা করার জন্য তৈরি হচ্ছে ইজরায়েল। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার মতো পরাশক্তি। কিন্তু রিপোর্ট আসছে যে, তারাও এক্ষুনি কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে চাইছেনা। উল্লেখ্য, আমেরিকার সেনা মোট ৮০টি ড্রোন ধ্বংস করে দেয়। সাথে নিষ্ক্রিয় করা হয় মোট ৬টি ব্যালেস্টিক মিসাইল। ইরান আগে থেকেই আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, তারা যেন এই সংঘাতে না জড়ায়। নতুবা তারা মিডল ইস্টের বিভিন্ন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে।
ইরান এবং ইজরায়েলের শত্রুতা অনেক পুরানো হলেও এর আগে ইরান থেকে সরাসরি ইজরায়েলে হামলা চালায়নি তারা। বরং এতদিন ধরে হুথি জঙ্গিদের সাহায্য করে প্রক্সি ওয়ারে জড়িত ছিল। কিন্তু এবার সরাসরি হামলা করায় তা যুদ্ধের পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজরায়েলের বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রীও জবাবি হামলার পক্ষেই। এখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে অনেকখানি। তবে এতে যে আঞ্চলিক শান্তি ভঙ্গ হবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এখন দেখার ইজরায়েল জবাবি হামলা করে, নাকি তারা আরো অন্য কোনো পথে ইরানকে শায়েস্তা করে।