ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ মলদ্বীপে মুইজ্জুর সরকার ক্ষমতায় এসে ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা ক্ষমতায় বসেই ভারত বিরোধীতা শুরু করে। চীনকে কাছে টেনে নিয়ে শত্রুতা বাড়ায় ভারতের সাথে। সেদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর কথায় ফিরিয়ে নেওয়া হয় ভারতীয় সেনাদের। কিন্তু সেনা সরানোর পর থেকেই মহা সমস্যায় পড়েছে মুইজ্জু সরকার। ভারতীয় সেনা এবং ভারতের বিরোধীতা করলেও বর্তমানে ভারী বিপদে মালদ্বীপ।
আসলে মালদ্বীপের ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েন করা হয় ভারতের দেওয়া তিন বিমান ওড়ানোর জন্য। ভারত সরকার সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়াতে তিন বিমানের স্থায়ী ঠিকানা এখন মাটিতেই। আর একথা জানিয়েছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মৌমুন। আসলে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেই মুইজ্জু ঘোষণা করে দেন যে, সেদেশে থাকবেনা কোনও ভারতীয় সেনা।
ভারতকে সেনা সরাতে বলে মলদ্বীপ
এরপর ভারত সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয় মালদ্বীপ থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কও তলানিতে। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ধাপে ধাপে ৭৬ জন সেনাকে সরিয়ে নেয় ভারত সরকার। সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের দেওয়া তিনটি বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাবাহিনীতে কোনও দক্ষ পাইলট নেই। ওই বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল।”
আরও পড়ুনঃ এ কী অবস্থা! মাধ্যমিকে একসঙ্গে ৫১ স্কুলের সবাই ফেল, রেজাল্ট প্রকাশের পর শোরগোল বাংলায়
তবে তাদের প্রশিক্ষণ যে এখনও সম্পূর্ন হয়নি সেকথাও মেনে নেন তিনি। তার কথায়, “এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একাধিক পর্যায় রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়নি।’’ জানিয়ে রাখি, মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডোর্নিয়ার বিমান উপহার হিসেবে দেয় ভারত। এছাড়া তার সাথে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারতীয় সেনাকেও পাঠানো হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ভারত বিরোধীতা করে এমন সিদ্ধান্ত নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।