পুজোর আগে বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, ভেঙে ফেলা হল একের পর এক প্রতিমা

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার: হাতে মাত্র আর কয়েকদিন। এর পরেই চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে মর্ত্যে আসতে চলেছেন মা দুর্গা। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিশাল তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই আবহেই বড় ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। এমনিতেই সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রায়শই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কিছুদিন আগে কোটা বাতিলের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। যার দরুন বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করেছেন এবং নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। এই আবহে ফের হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা উঠে এল। ভাঙা হল মা দুর্গার মূর্তি।

দুর্গা মূর্তি ফের ভাঙা হল ওপার বাংলায়!

জানা গিয়েছে, ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার সদর বাজার এলাকায় একটি হরি মন্দিরে চলছিল দুর্গা মায়ের প্রতিমা নির্মাণের কাজ। কয়েকদিন আগে নাকি মৃৎশিল্পীরা মাটির কাজ শেষ করে গিয়েছেন। ঠিক করেছিলেন যে বৃষ্টি বাদলা কাটলে প্রতিমা রং করা শুরু হবে। সবমিলিয়ে মোট ১৪টি প্রতিমা নির্মাণ করে রাখা ছিল। কিন্তু দেখা গেল সেই ১৪ টি প্রতিমার মধ্যে ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কোন প্রতিমার হাত, পা ভাঙা, কোনওটার আবার মাথা ভেঙে গিয়েছে। এই ভয়ংকর দৃশ্য দেখে গোটা হিন্দু সমাজ ভয়ে আবৃত হয়ে গিয়েছে। হরি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তরুণচন্দ্র সাহা জানান, ‘ গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’

WhatsApp Community Join Now

বাংলাদেশের এই ঘটনা ২০২২ সালে দুর্গাপুজোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সেবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজো চলাকালীন কোনো এক হিংসাত্মক গুজবের ওপর ভিত্তি করে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ জুড়ে। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক দুর্গামণ্ডপ ও মন্দির। এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেবার মোট ১০ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছিল।

নয়া ফতোয়া জারি বাংলাদেশে!

এমনকি এই আবহে বাংলাদেশে এক ফতোয়া জারি করে বলা হয়েছে যে দুর্গাপুজোর মধ্যে নমাজ চলাকালীন লাউজ স্পিকার ও ঢাক বাজানো যাবে না। অনেকেই এই ফতোয়াকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মাচরণে বিধিনিষেধ হিসেবে আরোপের চেষ্টা করেছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সেদেশের পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন