ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাংলাদেশে নয়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস-সহ, নয়া সরকারের একাধিক উপদেষ্টার মুখে শোনা গিয়েছিল যে মোদি সরকার শুধুমাত্র শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু দেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি। যেটা খুবই জরুরি। তাই স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হাসিনা নির্ভর। আর তাই এবার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবার হয়ত বাংলাদেশও চিন নির্ভর হতে চলেছে।
কী বলছেন বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন?
ভারত নয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আস্থা রাখছে চিনেই। গতকাল অর্থাৎ বুধবার, ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকে ভারত, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সেখানে তাঁকে চিনমুখী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। তবে তার মন্তব্যে কোথাও সেখানে ভারতের নাম দেখা যাযনি। যদিও তিনি এক সময় কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার পদে ছিলেন।
এদিন সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তৌহিদ হোসেন জানান, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক আছে। এছাড়াও চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে, এখানে কে থাকল না থাকল কিছু আসে যায় না। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক আছে। সরকার পরিবর্তন হোক আর যাই হোক, চিনের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। ভবিষ্যৎ এও যাতে সেই সম্পর্ক বজায় থাকে সেই দিকও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”
চরম মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত বাংলাদেশ
এদিকে বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের মাঝে সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই অর্থনীতির অবস্থা ক্রমে বেহাল হয়ে পড়ছিল। জুলাই থেকে টানা আন্দোলন, অরাজকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। যার ফলে বাজারে জিনিসপত্রের আগুন দাম, মূল্যবৃদ্ধি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। তার উপর আবার বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিও দেখা গিয়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতে চিনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। তাই আমরা চিনের কাছে সহযোগীতা চেয়েছি।”