ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রথম দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন যে পরবর্তীতে এতটা ভয়ংকর হবে আদতে তা কেউই ভাবতে পারেনি। এমনকি সেই আন্দোলন যে ধীরে ধীরে যে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে সেটাই কেউ আশা করেনি। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে আপাতত ভারতে রয়েছেন বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং গত সপ্তাহে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু বিপদের সংকট এখনও কাটেনি।
মুদ্রাস্ফীতির চাপে জর্জরিত বাংলাদেশ
শেখ হাসিনা গদি ছাড়তেই নড়ে গেল মুদ্রাস্ফীতির হার। জানা গিয়েছে জুলাইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতা ছুঁয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। একটি জনপ্রিয় নিউজ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে ১১.৬৬ শতাংশে উঠে গিয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের বিবিএস জুনে ৯.১৫ শতাংশ থেকে জুলাই মাসে বেড়ে ৯.৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা সেই অর্থবছরের ৭.৫ শতাংশ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.০২ শতাংশ।
বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারে পড়েছে চাপ!
অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের সময় থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নগদ তোলায় সীমারেখা টেনে দেয়। যা এখনও বহাল। ফলে ব্যবসার নগদ লেনদেনের সার্বিক বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্যাঙ্ক থেকে একদিনে ২ লক্ষ বাংলাদেশি টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। জানা গিয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ২১.৭৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। প্রায় একলাফে বাংলাদেশের মুদ্রাভাণ্ডার থেকে ১.৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। যা চিন্তায় ফেলেছে সকলকে।
প্রসঙ্গত, দেশ ছাড়ার আগেই জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভয়ংকর অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, সেই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা কোনো ভাষণ দিতে পারেনি। তাই সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে শেখ হাসিনার কি তবে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সবটাই তলিয়ে গেল।