ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকে বাংলাদেশে অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে রীতিমত ক্ষোভে জ্বলছে ঢাকা। বাংলাদেশের জায়গায়, জায়গায় আওয়ামি লিগ, ছাত্র লিগ, যুব লিগের সদস্যদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীরা। বহু জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ বলে খবর। তাঁদের একটাই দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।’
যদিও কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সদ্য আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গত শনিবারই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মঞ্চ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি করে। ডাক দেয় অসহযোগ আন্দোলনের। রবিবার সকাল হতেই ঢাকা সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে হিংসার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। ২০টি জেলা ও মহানগর মিলিয়ে আন্দোলনের প্রথম দিনেই কমপক্ষে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত এর সংখ্যাও অনেক। পাশাপাশি ১৪ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবরও মিলেছে।
‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচির ডাক দেশ জুড়ে
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকা-সহ সব শহরে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট, ফোর জি পরিষেবা, সমাজমাধ্যম। ঘোষণা করা হয়েছে তিন দিনের ছুটি। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার লক্ষণ তো দেখা যায়নি উল্টে আন্দোলনকারী মঞ্চ ‘ঢাকা চলো’ কমর্সূচির দিন এগিয়ে এনেছে। ৬ অগস্টের পরিবর্তে ৫ অগস্ট, অর্থাৎ আজ ওই কর্মসূচি পালন করা হবে, জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। দেশবাসীকে কার্ফু মেনে চলতে অনুরোধ করেছে সেনা।
আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভয়ংকর বার্তা
এইমুহুর্তে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। যান চলাচল থেকে দূরপাল্লার ট্রেন-কিছুই চলছে না। রাজধানী ঢাকাতেও পরিবহন স্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের বাংলাদেশে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছে দিল্লি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, যাঁরা নাশকতা করছেন তাঁরা ছাত্র নন, জঙ্গি। তাঁদের দমন করতে দেশবাসীর সাহায্য চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, জামাতের ছাত্র সংগঠনের পিছনে ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশনের মদত রয়েছে।