নয়া দিল্লিঃ মানবসভ্যতার শুরু থেকেই মহাকাশ নিয়ে আকর্ষণ ছিল মানুষের। সেই আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি পায়, যখন বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানুষকে মহাকাশে পাঠাতে সাহায্য করে। এখন তো মহাকাশে ঠিকানাও তৈরি করে ফেলেছে মানুষ। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন তার জীবন্ত নিদর্শন। তবে এই স্পেস স্টেশনে এখন আটকে পড়েছেন দুই অভিজ্ঞ মহাকাশচারী – সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। তাঁরা আপাতত মহাকাশেই আটকে পড়েছেন। কারণ এই দুই বিজ্ঞানীকে না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে এসেছে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযান।
শনিবার সকালেই পৃথিবীতে নেমে আসে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের ক্যাপসুলটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এদিন সকাল ৯ টা বেজে ৩১ মিনিটে মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবারে সফলভাবে অবতরণ করে এই ক্যাপসুল। কিন্তু সুনীতা ও ব্যারিকে ছাড়াই সেটি ফিরে আসে পৃথিবীতে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার ৬ ঘন্টার মধ্যেই সেটি ল্যান্ড করে মেক্সিকোর মাটিতে।
অঘটন ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরল মহাকাশযান
স্টারলাইনারের মিশন এবং এই ক্যাপসুল পৃথিবীতে ফেরা বোয়িং এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে সফল হয়েছে। এই মিশনটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-এ ক্রু পরিবহনের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল। তবে এই মিশনটির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এটি মহাকাশে থাকা উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে আসে। সূত্রের খবর, ঘন্টায় ২৭,৪০০ কিলোমিটার বেগে সেটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। তারপর একাধিক প্যারাসুট খুলে পালকের মতো ল্যান্ড করে মাটিতে।
কেন মহাকাশে আটকে সুনীতা ও ব্যারি?
গত ৫ ই জুন, ৮ দিনের সফরে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমর। ৬ ই জুন স্পেস স্টেশনে পৌঁছায় স্টারলাইনারের এই বোয়িং মহাকাশযান। তবে গোড়া থেকেই এই মিশনে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যান থেকে হিলিয়াম চুঁইয়ে পড়ছিল, সঙ্গে কাজ করছিল না থ্রাস্টার। এই কারণে হঠাৎ করেই উইলিয়ামস ও উইলমোর মহাকাশ স্টেশনে থেকে যান। তাঁরা দুজনেই অভিজ্ঞ মহাকাশচারী এবং তাঁরা বর্তমানে ISS-এ অবস্থান করছেন। যদিও মহাকাশ থেকে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার কোনো পরিকল্পনা এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। নাসা এবং বোয়িং উভয়ই জরুরী ভিত্তিতে একটি উদ্ধার মিশনের পরিকল্পনা করছে।