ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সময়টা যখন ২০২২, ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থভান্ডারে টান তখন চোখে পড়ার মত। যার ফলে একেবারে টলমল অবস্থা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার। এদিকে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় দেশের সমগ্র মানুষের। বিক্ষোভ, প্রতিবাদে যেন একপ্রকার গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। জনগণের এই তীব্র ভয়ংকর ক্ষোভের মুখে পরে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের গদি নড়ে গিয়েছিল। আর সেই আন্দোলনের চিত্র যেন গোটা বিশ্বে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল।
ভয়ংকর চাপে শ্রীলঙ্কা
পরে অবশ্য আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার অর্থাৎ IMF এর কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে অর্থনীতির হাল ধরেছিল শ্রীলঙ্কা। সাময়িক ধাক্কা সামলে নিলেও এখনই পুরোপুরি সবটা নিজের হাতে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। আর এই আবহেই চিনা ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করা নিয়ে আরও এক ভয়ংকর চাপের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে এবার শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত ও রাশিয়া।
সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে নামাঙ্কিত হামবানটোটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন হয়। আর তার পর থেকেই আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করছে। প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল হামবানটোটা বিমানবন্দর তৈরি করতে। যার মধ্যে চিনের এক ব্যাঙ্ক থেকে ১৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শ্রীলঙ্কা। এবার সেই ঋণ শোধ করতে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা সে দেশের সরকারের। এবার সেই ঠেলা সামলাতে ভারত এবং রাশিয়ার দুই সংস্থার সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
চিনার ঋণ পরিশোধে কুপোকাত শ্রীলঙ্কা সরকার
হামবানটোটার মাত্তালা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে চিনের আধিপত্য নিয়ে বারবার আলোচনা হয় কূটনৈতিক মহলে। চিনের অর্থসাহায্যে তৈরি মাত্তালা বিমানবন্দর এ বার ভারতকে হস্তান্তর করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে শুধু ভারত নয়, এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়াও। বিশ্বের ‘সবচেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দর’ হিসাবে পরিচিত শ্রীলঙ্কার মাত্তালা বিমানবন্দর এ বার ভারত ও রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
আরও পড়ুনঃ DA না হলেও এবার সরকারি কর্মীদের জন্য এল বিরাট সুখবর, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
তাই শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই অলাভজনক বিমানবন্দর নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চালায়, বিমানবন্দর পরিচালনার দ্বায়িত্বভার দেওয়া নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা মাত্তালা বিমানবন্দর লিজ় নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। যার মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের সৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড ও রাশিয়ার রিজিয়ন ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে বেছে নেয় এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে ভারত রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে শ্রীলঙ্কায় শীঘ্রই মাত্তালা বিমানবন্দর চলাচল করা শুরু করবে বলে এমনটাই জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিমান পরিবহন মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা জানিয়েছেন