ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভারত মলদ্বীপ সংঘাতে নিল এক নয়া মোড়! ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠে এল নিয়ম ভাঙার অভিযোগ! কিছু দিন আগে মলদ্বীপে রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। এবং পদ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করেন যে মলদ্বীপের ভূখণ্ডে কোনও ভারতীয় সেনা থাকবে না। পাশাপাশি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন সেনা প্রত্যাহারের জন্য। সেই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর নরেন্দ্র মোদী সরকার মেনে নেয় মুইজ্জুর অনুরোধ। তার পর মলদ্বীপ থেকে ধাপে ধাপে ৭৬ জন সেনাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিপাকে মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট!
কিন্তু সেই সিদ্ধান্তেও বিপাকে পড়ে মুইজ্জু সরকার। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য বা অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভারতের তরফ থেকে দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল মলদ্বীপকে। কিন্তু সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মৌমুন জানান, ‘ভারতের দেওয়া তিনটি বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাবাহিনীতে কোনও দক্ষ পাইলট নেই। ওই বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একাধিক পর্যায় রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়নি।’ কিন্তু এর মাঝেই মলদ্বীপের আকাশে অনুমোদনহীন উড়ান নিয়ে অভিযোগ করেছে মলদ্বীপ সরকার।
বিনা অনুমতিতে ভারতের হেলিকপ্টার উড়ল মলদ্বীপে!
সম্প্রতি মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় নৌসেনার একটি হেলিকপ্টার ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর আকাশে উড়েছিল। কিন্তু সেটা নাকি মলদ্বীপ সামরিক বাহিনীর অনুমতি না নিয়েই করা হয়েছিল। তবে ভারত এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। এবং সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালে-তে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতের সবকটি বায়ুযান দ্বীপ রাষ্ট্রের নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয়। এবং তাঁরা এও বলেন যে মালে এবং দিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যে সকল শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই ভারতের বায়ুযানগুলি কাজ করে মলদ্বীপে।
এছাড়াও ভারতের দাবি, ২০১৯ সালে ৯ অক্টোবর উড়ানের সময় মলদ্বীপের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। পরে উড়ানে বিপত্তির জেরে থিমারাফুশিতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল সেই হেলিকপ্টার। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করেই থিমারাফুশিতে অবতরণ করে ভারতী হেলিকপ্টারটি।
আরও পড়ুনঃ হলফনামায় বিস্তর গরমিল! বাতিল হবে সায়নী ঘোষের প্রার্থীপদ? বড় বয়ান নির্বাচন কমিশনের
প্রসঙ্গত, ভারতের উপহার দেওয়া তিন বায়ুযান পরিচালনার জন্যেই ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান মলদ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু র কথা মত তাদের সরানো হয়েছে মলদ্বীপ থেকে। গত ১০ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। আর সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার একদিন পরেই অর্থাৎ ১১ মে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার নিয়ে এই অভিযোগ করেছিল মলদ্বীপের বাহিনী।