ঋত্বিক পাত্রঃ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনের তাবেদারী করতে ব্যস্ত। এমনকি সেজন্য ভারতের সাথে শত্রুতা করতেও পিছপা হয়নি তারা। ক্ষমতায় এসেই চিনের দাসত্ব স্বীকার করে ভারতকে হেয় করে মুইজ্জু। কিন্তু তার এক মন্ত্রী এখনও ভারতকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ন অংশীদার বলেই মনে করেন। চিনের সামনেই ভারতের ব্যপক প্রশংসা করেন মুইজ্জুর মন্ত্রী মহম্মদ সাঈদ। তিনি বলেন, মলদ্বীপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ভারত। মুইজ্জু এখনও অবধি যা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন তাই প্রকাশ্যে বলে এসেছেন তার মন্ত্রী।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট যা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন তাই প্রকাশ্যে বলে এসেছেন মলদ্বীপের সিনিয়র মন্ত্রী মহম্মদ সাঈদ। তিনি সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছেন। সেখান থেকেই এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। মলদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যমন্ত্রী সাঈদের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ভারত সফরের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা কিছুটা হলেও কমেছে। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে আসেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
চিনের দালিয়ানে আয়োজিত ১৫তম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশগ্রহণকারী মহম্মদ সাঈদ তার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু মনে করেন ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী।’ ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের টানাপোড়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ বলেন, ‘ভারত এবং মলদ্বীপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং ভারত আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি।’
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম দেবের, এবার CBI-র কাছে যা জানতে চাইল হাইকোর্ট! তোলপাড় বঙ্গ
এদিকে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর সেটিকে নিজেদের দেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’ বলে বর্ণনা করেন। তার কথায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী হলে মলদ্বীপ এবং সেখানের নাগরিকদের জন্য সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। এখানে জানিয়ে রাখি যে, মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরই ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করেন। চিনের দাসত্ব গ্রহণ করে ভারতকে অবমাননা করলে দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে আবারো সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে মলদ্বীপ। তারই উদাহরণ চিনে গিয়ে ভারতের গুণগান করা।