ঋত্বিক পাত্রঃ ভারতীয় এক কোম্পানি শীঘ্রই নেপালের তিন বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারে। বিমানবন্দর চালনা করার জন্য নেপালের প্রশাসন আদানি গ্রুপের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নেপালে যান। নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনাও করে ফেলেছেন তারা।
জানা যাচ্ছে গত জানুয়ারি মাসেই বৈঠক হয়েছে। ভাইব্রেন্ট গুজরাট সামিট চলাকালীন সেখানে যান নেপালের অর্থমন্ত্রী রাম শরণ মাহাত। তখনই তিনি দেখা করেন শিল্পপতি গৌতম আদানির সাথে। সেসময় আদানিও নেপালের বিমানবন্দর এবং জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নেপালের সরকার তাদের বিডে অংশগ্রহন নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এখনো অবধি আদানি এন্টারপ্রাইজ সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও সমস্ত দিকটা খতিয়ে দেখছে তারা।
তিনটি বিমানবন্দর আদানির হাতে দেবে নেপাল
নেপাল এক্ষেত্রে তিনটি বিমানবন্দরকে আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দিতে চাইছে। এর মধ্যে রয়েছে পোখরা এবং গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দর। উল্লেখ্য, এটি চিনের অর্থায়নে এবং একটি চিনা কোম্পানি দ্বারা নির্মিত। আসলে হয়েছে কি, বিমানবন্দরের জন্য দেখা ঋণ আদায়ে চিনা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। চিন অবশ্য আগে থেকেই নির্ধারিত হার পরিবর্তন করেছে। উল্লেখ্য, গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দর ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
আরও পড়ুনঃ রেলে চাকরির নাম করে বিয়ে! প্রকাশ্যে এল গায়ক রূপঙ্করের বিরাট কীর্তি
নেপাল সরকার এই বিমানবন্দরগুলি পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে। কাঠমান্ডুতে থাকা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কিছুটা লাভজনক হলেও বাকি ক্ষেত্রে ক্ষতির বোঝা বাড়ছেই। ভৈরহাওয়াতে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দরটি চীনের নর্থওয়েস্ট সিভিল এভিয়েশন এয়ারপোর্ট কনস্ট্রাকশন গ্রুপ নির্মাণ করে। পোখরা বিমানবন্দর তৈরি হয় চিনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক থেকে ২১৫ মিলিয়ন ঋণ নিয়ে। তৈরিও করে চিনা কোম্পানি। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি, বরং উল্টে চিনা ঋণ নেপালের জন্য বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সাদা হাতি না পুষে বিক্রি করে দিতে চাইছে নেপাল সরকার।