মালেঃ অশান্তির কালো মেঘ যেন সরতেই চাইছে মলদ্বীপের আকাশ থেকে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এই দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ প্যারাডাইসের থেকে কম কিছু নয়। প্রতি বছর ভারত সহ বিভিন্ন দেশের পর্যটক মলদ্বীপ ঘুরতে যান। কিন্তু এবার মলদ্বীপ আরও বড় জাঁতাকলে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। যত সময় এগোচ্ছে ততই নাকি দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এবার মলদ্বীপের তরফে যা জানানো হল তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে।
মলদ্বীপ নিয়ে খারাপ খবর
জানা গিয়েছে, মলদ্বীপের ইসলামিক বন্ডের বিক্রির মাত্রা হু হু করে বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা মলদ্বীপ থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। এছাড়া দেশের ডলার-মূল্যায়িত সুকুক এই সপ্তাহে ৭০ সেন্টের নিচে নেমে গেছে, যা একটি রেকর্ড। চলতি মাসে দুই অঙ্কের লোকসানের কারণে ব্লুমবার্গ ইএম সার্বভৌম টোটাল রিটার্ন ইনডেক্সে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে ঋণ। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ তলানিয়ে গিয়ে ঠেকছে বলে আগেই জানিয়েছে ব্যাংক অফ মলদ্বীপ। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মুখ ফেরাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা
Danske Bank-এর পোর্টফোলিও ম্যানেজার সোয়েরেন মোয়ের্চ বলেছেন, “আমরা গ্রীষ্মের শুরুতে আমাদের বেশিরভাগ বন্ড বিক্রি করেছি, কারণ আমরা দেখেছি যে এফএক্স রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। তখন থেকে এখনও অবধি জিনিসগুলি স্পষ্টতই অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে।” এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলিম দেশগুলো মলদ্বীপকে সুকুক বন্ডে খেলাপি হতে দেবে কিনা। এখনও অবধি যা খবর, কোনো সরকারই এ ধরনের ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি।
এম অ্যান্ড জি-র সিনিয়র উদীয়মান বাজারের সার্বভৌম ঋণ কৌশলবিদ পূরবী হারলালকা উল্লেখ করেছেন, “জুনে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রিজার্ভ থাকলেও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ মাত্র সাড়ে চার কোটি ডলার। মালদ্বীপের মুদ্রা কর্তৃপক্ষ ভারতের সাথে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মুদ্রা বিনিময় নিয়ে আলোচনা করছে, তবে ফিচের সিসি-তে অবনমন ক্রমবর্ধমান খেলাপি উদ্বেগকে তুলে ধরেছে।”