ভরা বর্ষার মরসুমে বাংলাদেশের ইলিশ পাতে পড়েনি বাঙালিদের। যে কারণে বেজায় মন খারাপ সকলের। বর্তমানে বাংলাদেশে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তি সরকার গঠন হয়েছে। পতন ঘটেছে শেখ হাসিনার সরকারের। যত বছর শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন দুর্গাপুজোর সময় ভারতকে টন টন ইলিশ পাঠাতেন। কিন্তু সেই যে কথায় আছে না, রাজাও নেই আর রাজার রাজত্বও নেই, এক্ষেত্রেও একই বিষয়টা। পদ্মাপারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়ে দিয়েছেন যে, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে না। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, আগে দেশের মানুষ ইলিশ পাবে তারপর ভাবা যাবে অন্য কোথাও মাছ পাঠানো হবে। তবে এসবের মাঝেই এবার ভারত সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমানে ডিম ঢুকল বাংলাদেশে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকল ভারতের ডিম
জানা গিয়েছে, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভারত থেকে ডিমবাহী একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর ওই ট্রাকটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ডিম আমদানিতে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ১৭২ ডলার বা ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৪৩ টাকা। সম্প্রতি দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশান নামের এক প্রতিষ্ঠান এই ডিম আমদানি করেছে। ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ থেকে এই ডিম গিয়েছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ কম দামে কিনতে পারবে।’ এহেন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার বাংলাদেশও ভারতকে ইলিশ পাঠানোর ব্যাপারে নমনীয় মনোভাব দেখাবে?
পদ্মাপাড়ের মাছ পাবে ভারত?
পদ্মার ইলিশ মাছ ভারতে না ঢোকায় যথেষ্ট চিন্তিত মাছপ্রেমী থেকে শুরু করে মাছ ব্যবসায়ীরা। সাগর, কাকদ্বীপ, দিঘা, ডায়মন্ড হারবার থেকে মৎস্যজীবীরা মাছ তুলছেন ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে সকলেরই মাথাব্যথা। এমনিতে ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের ১১ দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ। তবে এখন বাংলাদেশের নতুন সরকার কোনো দেশকেই এই মাছ পাঠাচ্ছে না। এই বছর বা আগামী দিনে পাঠাবে কিনা টা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।