শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ এবার ভারতের মধ্যে কয়েক একর জমি পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তিও হয়ে গেল বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। একদিকে যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সেখানে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশকে ২০০ একর জমি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আপনিও অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? ভাবছেন এটা কি আদৌ সত্যি? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
বাংলাদেশকে ২০০ একর জমি ফিরিয়ে দেবে ভারত!
জানা গিয়েছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতের কাছে হারানো প্রায় ২০০ একর জমি ফিরে পেতে চলেছে বাংলাদেশি ভূমির মালিকরা। এই বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে বিতর্কিত জমি নতুন করে মেপে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সমস্যা
দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই জমি পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত এক সমীক্ষায় প্রথম এই সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বিজিবি সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ২০০ একর জমি ও ভারতের ৪০ একর জমির হিসেবে গরমিল পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ইস্যু তো রয়েইছেই।
বিজিবি কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সার্ভেতে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর জমি ও ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে। যা আগামী অক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা একমত হয়েছেন। ফলে খুব দ্রুত এই জমি হস্তান্তরের কাজ শুরু হবে। যদিও দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর এহেন সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছেন সকলে।