ধর্ম অবমাননার জের, বাংলাদেশে সেনা, পুলিশের সামনেই হিন্দু কিশোরকে গণপিটুনি

Published on:

bangladesh

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা গদি ছাড়ার পরেই সেখানকার হিন্দুদের ওপর নানা রকম অত্যাচারের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। মন্দির ভাঙার পাশাপাশি হিন্দুদের বাড়ি ভেঙে ফেলার মত নানা ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আর এই আবহে সমাজ মাধ্যমে ধর্মবিরোধী পোস্ট করায় এক কলেজ ছাত্রকে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনির শিকার হতে হল।

ঘটনাটি কী?

জানা গিয়েছে বিবাদের সুত্রপাত হয়েছে গত মঙ্গলবার। খুলনার আজম খান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র উৎসব মণ্ডল সমাজ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি সেই বিশৃঙ্খলা ধীরে ধীরে ভয়ংকর আকার ধারণ করে। জানা যায় পরেরদিন এই তরুণ প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে গেলে সেখানে সহপাঠীরা তাঁর পোস্ট নিয়ে আপত্তি তোলে। জোর কদমে সেখানে বাদ-বিবাদ চলতে থাকে। কিন্তু তখন ঠিক হয়েছিল সন্ধ্যায় সকলে পুলিশের ডিসির কার্যালয়ে গিয়ে এই বিষয়ে কথা বলবে। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যাবে। কিন্তু সেখানেই ঘটে বড় বিপদ।

WhatsApp Community Join Now

সন্ধ্যায় যখন ওই ১৭ বছর বয়সী তরুণ ও তাঁর বাবা ডিসির কার্যালয়ে যায় সেখানে বিপুল জনতা জড় হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভের পরিণতি এতটাই জোরাল হয়ে ওঠে যে সেই খবর পেয়ে সেনা ও নৌ-সেনার পুলিশও ডিসির অফিসে চলে যায়। এবং ক্ষিপ্ত জনতাকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে আদালতের বিচারের মুখোমুখি করা হবে ওই তরুণকে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ দেয় না। শেষে গভীর রাতে যখন ওই তরুণকে সেনা ঘেরাটোপে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন উপস্থিত জনতার মারধর করতে থাকে ওই তরুণকে।

কী বলছে প্রশাসন?

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রথমে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে গণপিটুনিতে ওই তরুণ মারা গিয়েছে। গতকাল রাতেই মসজিদের মাইকে ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়। কিন্তু আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, গণপিটুনিতে আহত তরুণ বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে মারা যায়নি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ তাজমুল জানান, ‘আটক উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তারা উৎসবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় মসজিদের মাইকে তরুণ নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।’ যদিও বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটি ভিডিও পোস্ট করে উল্লেখ করেন যে, ওই যুবককে নাকি পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন