ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যেন আরও লণ্ডভণ্ড অবস্থা বাংলাদেশের। একের পর এক ধ্বংসলীলার ভয়ংকর রূপ যেন ফুটে উঠেছে প্রকাশ্যে। গোটা দেশে লণ্ডভণ্ড চলে বিক্ষোভকারীদের মাধ্যমে। এমনকি বাদ যায়নি ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিও। মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সেরও দফারফা করেছে দুষ্কৃতীরা। সেখানে ৬০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে মুজিবর রহমানের মূর্তির পাশাপাশি এবার ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানের আত্মসমর্থনের ভাস্কর্যেও আঘাত হানা হয়েছে।
কী কী ভাস্কর্য ধ্বংসের মুখে?
সূত্রের খবর, গত ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটায় মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সের তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হয়। এর পর তাণ্ডব চলে ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ ভাস্কর্যটিতে। একে একে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্থনের ভাস্কর্যগুলোতেও আঘাত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। যা নিয়ে এবার তীব্র ভর্ৎসনা করলেন ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
কী বলছেন শশী থারুর?
গতকাল অর্থাৎ সোমবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মূর্তি ভাঙার ছবি প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন, “১৯৭১ এর স্মৃতি বিজরিত মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সের দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখে খারাপ লাগছে। এভাবেই ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টার, হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের বাড়িতে লজ্জাজনক হামলা হয়েছে। এই আবহেই সহনশীল মুসলিমরাই সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছে, সেই খবরও সামনে আসছে।” এমনকি শশী আরও বলেন যে, “ছাত্র বিক্ষোভ আন্দোলনের মাঝে সংখ্যালঘুদের আক্রমণে স্পষ্ট, বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্য ঠিক কী! কিন্তু এই অস্থির সময়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে, তবে নৈরাজ্যের এই বাড়াবাড়িকে কখনই ক্ষমা করা যায় না।”
Sad to see images like this of statues at the 1971 Shaheed Memorial Complex, Mujibnagar, destroyed by anti-India vandals. This follows disgraceful attacks on the Indian cultural centre, temples and Hindu homes in several places, even as reports came in of Muslim civilians… pic.twitter.com/FFrftoA81T
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) August 12, 2024
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে পরাজয় মেনেছিল পাক সেনা। ওই দিন ভারতীয় সেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকেই ভাস্কর্য রূপে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দুষ্কৃতীর দল সেই চুক্তির ভাষ্কর্যটিকেই রড, বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে। ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সেটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।