ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাংলাদেশের অবস্থা ক্রমেই বেগতিক দেখে অবশেষে নিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। আর পদত্যাগ করা মাত্রই শেখ হাসিনা তাঁর সাধের গণভবন ছেড়ে গত সোমবার পালিয়ে আসেন ভারতে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বিশেষ বিমান C-130J করে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা চলে আসেন। শেষে ভারতের সবথেকে বড় এয়ারবেস হিন্ডনে অবতরণ করেন। আপাতত এয়ারবেসের একটি সেফ হাউসে রাখা হয়েছে তাঁকে। এ সেখান থেকেই প্রচুর কেনাকাটা করছেন তিনি। আর সেটি করতে গিয়েই একপ্রকার বিপদের মুখে পড়লেন তিনি।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল গাজিয়াবাদে এসে হিন্ডন এয়ার ফোর্স স্টেশনের শপিং কমপ্লেক্স বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহানার সঙ্গে এসে প্রচুর পরিমাণে কেনাকেটা করেছেন। বিল ওঠে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু কেনাকাটা করতে গিয়েই বিপদের সম্মুখীন হন। আসলে তিনি এই সমস্ত জিনিসপত্র ভারতীয় নোটে কিনেছিলেন। কিন্তু সেই নোট ছিল সীমিত। ফলত তিনি অর্থ সংকটে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে বাংলাদেশি মুদ্রা দিয়ে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হয়।
কী কী নিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা?
জানা যায় শেখ হাসিনা যখন তাঁর প্রাণের প্রিয় গণভবন থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তখন তিনি সঙ্গে করে মাত্র ৪টি স্যুটকেশ ও দুটি ব্যাগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন। আর সেই সব ব্যাগে ছিল তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি নিতে পারেননি, তার কারণ তাঁকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য। আর ঠিক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ছাড়তেই গণভবনে ঢুকে পড়েছিল আন্দোলনকারীরা। এবং লণ্ডভণ্ড করে দেয় গোটা ভবন। আবার অনেকে বেশ কিছু দামী জিনিস নিয়েও চলে আসেন। সেই দৃশ্য কোথাও যেন ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিল খেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আহা রে উন্নয়ন! দুপাশে নেই রাস্তা, খোলা মাঠের মাঝে একা দাঁড়িয়ে তিন কোটির ব্রিজ
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ছাত্র ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন— দুই দফার আন্দোলনে প্রায় প্রাণ হারিয়েছে তিনশোর বেশি মানুষের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। আর নিজের দেশ ছাড়ার পরেই নাকি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়। তবে সেই সম্পর্কে কোন তথ্য সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের দিনই নাকি সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন ভেঙে দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ।