ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বিশ্বের কূটনৈতিক মঞ্চে ফের ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চিন ও আমেরিকার মধ্যে। আর এই দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা ভারতের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ভারতে এবার পণ্য সরবরাহের জন্য কন্টেইনারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আর এর মূল কারণ আমেরিকা ও চিনের মধ্যে তৈরি হওয়া বিদেশ নীতি।
সম্প্রতি, চিন থেকে আসা কিছু জিনিসের উপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে, চিন আমেরিকার বাজারে তার আরও বেশি পণ্য পাঠাতে উদ্যত হয়েছে। সেই কারণে, এখন বেশিরভাগ খালি কন্টেইনার চিনে পাঠানো হচ্ছে। এই কারণে ভারতে কন্টেইনারের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
চিনা পণ্যের উপর মারকাটারি সিদ্ধান্ত আমেরিকার
কিছুদিন আগেই আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন অনেক চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইস্পাত থেকে সোলার প্যানেল, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রিক গাড়ি এবং চিকিৎসা সামগ্রী। এই শুল্ক ২০২৪-এর আগস্ট থেকে ২০২৬ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপে কার্যকর করা হবে।
আমেরিকার বাজার দখলদারির চেষ্টা চিনের
আমেরিকা সরকারের এই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে চিন যতটা সম্ভব পণ্য আমেরিকায় পাঠাতে চায়। এ কারণে চিনে হঠাৎ করেই কন্টেইনারের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে খালি কন্টেইনার পাঠানো হচ্ছে চিনে। এদিকে আবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এডেন উপসাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোকে টার্গেট করেছে। আর এইসব কারণেই কন্টেইনার দাম বাড়ছিল। আর চিনের এই পদক্ষেপে ফের কন্টেইনারের ঘাটতি শুরু হতে পারে।
এই অবস্থায় ভারতের বাণিজ্য প্রভাবিত হতে পারে
চিনা পণ্যের ওপর আমেরিকার উচ্চ শুল্ক আগস্ট থেকে কার্যকর হতে শুরু করেছে। এই কারণে চিনের ব্যবসায়ীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পণ্য আমেরিকায় পাঠাতে চায়। এর কারণে ভারতের বাণিজ্য কম হতে পারে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাও শুল্ক বাড়িয়েছে। লোহিত সাগরে তৈরি এই সঙ্কটের কারণে ভারতে জাহাজ চলাচলের পথ দীর্ঘ হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বন্দরে তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণেই অনেক শিপিং কোম্পানি ভারতে আসা এড়িয়ে যাচ্ছে।
আগামীতে বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেভাবে উন্নতি করবে ভারত
সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন যে সবচেয়ে খারাপ সময় শেষ হয়েছে এবং আগামী মাসগুলিতে কন্টেইনার যোগান বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে দেশের রপ্তানি বেড়েছে ৬.৬ শতাংশ।