শ্বেতা মিত্রঃ লাগাতার খবরের শিরোনামে থেকেছে বাংলাদেশ। ওপার বাংলায় আন্দোলন, বিক্ষোভের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল অগ্নিগর্ভ। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। এবার তাঁর একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভাইরাল অডিও
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ফোনালাপ। মনে করা হচ্ছে এই ফোনালাপ শেখ হাসিনার। ভাইরাল এই ফোনালাপে এক মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের কনস্টিটিউশনের আর্টিক্যাল ৫৭ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ, আমার কিন্তু সেভাবে পদত্যাগ করা হয়নি’। এখন দাবি করা হচ্ছে এই মহিলা কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার। এটাও দাবি করা হচ্ছে, হাসিনার সঙ্গে ফোনের ওপারে ছিলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ছাত্রলীগের এক প্রাক্তন নেতা। এই ব্যক্তি এখন রয়েছেন বেলজিয়ামে।
দেশ ছাড়ার পর শেখ হাসিনা এখন কোথায় রয়েছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই। কিন্তু পদত্যাগের ব্যাপারে এই দাবি কেন করা হয়েছে সে ব্যাপারে সাধারণের মধ্যে কৌতূহল দানা বেঁধেছে। হাসিনা দেশ ছেড়েছেন এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পদ্মার ওপাড়ে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিস্ফোরক হাসিনা!
দেশ ছাড়ার পর হাসিনা একবার বিবৃতি দিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের চিফের পক্ষ থেকে আর কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। পদত্যাগ প্রসঙ্গের পাশাপাশি ফোনালাপে আরও বলা হয়েছে, ‘৬ তারিখের জায়গায় ৫ তারিখে (লং মার্চ) নিয়ে আসল। ৫ তারিখে নিয়ে আসার ফলে এমনভাবে চারদিকে লোক ঘেরাও…আমি দেখলাম যে এখন যদি ওপেন ফায়ার করে আমার এখানের সিকিউরিটি… তাহলে অনেক লাশ পড়বে। লাশ ফেলে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না’।
হাসিনাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘যখন এমন সিচ্যুয়েশন হয়ে গেল যে আমার সিকিউরিটি যারা ছিল তারা বাধ্য হয়ে…তখন আমাকে সরে যেতে হল গণভবন থেকে। যার ফলে বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা আমি দিইনি। কাজেই আমার কিন্তু পদত্যাগ হয়নি। আমি এখনও বাংলাদেশের কনস্টিটিউশনাল ইলেকটেড প্রাইম মিনিস্টার’। জবাবে ছাত্রলিগের প্রাক্তন নেতা বলছেন, ‘ইনশাআল্লাহ আপা, আপনি চলে আসবেন তো। আর বেশি দিন নাই’।