ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভোট মিটলেই বড় পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! DA বৃদ্ধি দূরহস্ত এবার বাড়বে বেতন! চলছে লোকসভা নির্বাচন। একের পর এক দফার ভোট পর্ব যত দ্রুত গতিতে মিটছে, ঠিক ততটাই রাজনৈতিক পারদ চড়চড় করে বাড়ছে। তার মধ্যেই আবার বলবৎ রয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। কিন্তু এর মাঝেও সরকারী কর্মীদের লক্ষ্য অন্যদিকে। বেতন বাড়ার অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো চেয়ে বসে রয়েছেন অনেকে। কবে বাড়বে তাঁদের বেতন? কী ই বা বলছে রাজ্য সরকার?
জানা গিয়েছে নয়া বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে তা নিয়ে শুরু হয় কর্মীদের টালবাহাল পরিস্থিতি। তবে সেই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ নয়। ঘটেছে কর্নাটকে। গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল কর্ণাটকের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল সরকারী কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়াতে হবে।
সরকারী কর্মীদের আবেদন
সরকারী কর্মীদের এই সুপারিশ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার তাঁদের আশ্বাস দেয় যে ভোট পর্ব মিটলে সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর তবেই রাজ্য সরকার কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এইমুহুর্তে কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও এখনও আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি শিথিল করা হয়নি। সামনেই কর্ণাটকে বিধান পরিষদ নির্বাচনও আছে। তার জন্য ১২ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে আদর্শ আচরণবিধি।
সরকারী কোষাগারে অর্থাভাব!
তাই বর্তমানে সে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, মাইনে পেয়ে থাকেন। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারী কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার টাকা করা উচিত। যদি নির্বাচনী আচরণবিধি শিথিল হওয়ার পরও সরকার এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে এবার জোরদার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ এবার জাপানের সঙ্গে সোজা টক্কর ভারতের! ২০২৫-র মধ্যেই হতে চলেছে বড়সড় কিছু
এদিকে চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে সরকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে ২৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে। গত অর্থবর্ষে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৬৫ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে এই বছরে রাজ্য সরকারী কর্মীদের বেতন খাতে বরাদ্দ ২৪ শতাংশ বাড়ানো হয়। তবে সূত্রের খবর, যদি কর্মীদের বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয় তাহলে সরকারের কোষাগারে ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বোঝা বাড়তে পারে।