কলকাতাঃ ভারতীয় পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট হল ভারতীয় ডাক বিভাগের একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ বিকল্প। এটি মূলত একটি সঞ্চয় স্কিম, যেখানে মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হয়। স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে সুদ সহ মূলধন ফেরত পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে নিরাপদে টাকা রাখতে পারেন যে কেউ। কারণ প্রকল্পটি কেন্দ্র সরকারের অধীনে চলে।
পোস্ট অফিস RD স্কিমটি প্রধানত সাধারণ মানুষ, বিশেষত ছোট বিনিয়োগকারী, তাঁদের জন্য বেশ উপযোগী। কারণ বিনিয়োগ, সুদ ছাড়াও এই স্কিমে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এইসব সুবিধা সাধারণ মানুষদের অনেক ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা প্রদান করে। তাই আপনি এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে চাইলে স্কিমটি সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ তথ্য জেনে রাখুন।
রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের মেয়াদ ও সুদের হার
পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। এই স্কিমে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০ জমা করা যায়। এক্ষেত্রে জমার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে ১০-এর গুণিতকে টাকা জমা দিতে হয়। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা RD স্কিমের সুদ হার নির্ধারিত হয়। ২০২৩ সালের জন্য পোস্ট অফিস RD-তে বার্ষিক সুদের হার ছিল ৬.২ শতাংশ। এই স্কিমে চক্রবৃদ্ধি সুদের ভিত্তিতে প্রতি তিন মাস অন্তর সুদ হিসাব করা হয়।
কারা RD অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন?
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক পোস্ট অফিস RD অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য অভিভাবকের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এছাড়াও সর্বাধিক ৩ জন ব্যক্তি এই স্কিমে যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। পোস্ট অফিস RD অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে পোস্ট অফিসে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে অথবা অনলাইন পদ্ধতিতে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বা IPPB-এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
পোস্ট অফিসের RD স্কিমে আয়কর ছাড় এবং অন্যান্য সুবিধা
(১) পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুদের উপর কর ধার্য হতে পারে, তবে এটি আয়কর আইনের 80C ধারার অধীনে ট্যাক্স ছাড়ের যোগ্য নয়।
(২) পোস্ট অফিসের RD স্কিমের বিপরীতে জমাকৃত টাকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে।
(৩) কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীর কিস্তি জমা করতে না পারলে, অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয় না। তবে যদি পরবর্তী মাসে কিস্তি জমা দেওয়া হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে পেনাল্টি দিতে হবে।