ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা সহ লেনদেন সংক্রান্ত নানা সমস্যার খবর এর আগেও বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। এমনকি এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের ফেক চেকের জালের শিকার হতে হল পুরসভাকে। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
ঘটনাটি কী?
বর্ধমান পুরসভা কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগ অনুযায়ী জানা গিয়েছে বর্ধমান পুরসভার পাশেই একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় এই পুরসভার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত গত শনিবার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে পরের দিন অর্থাৎ রবিবার বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “পুরসভায় যে দুটি চেক ব্যবহার করা হয়ে থাকে টাকা তোলা হয়ে থাকে সেই চেক দুটি পুরসভাতেই আছে। অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠে গেছে, কীভাবে সম্ভব তা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুরসভার চেকে চেয়ারম্যানের সই!
এই প্রসঙ্গে পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, “আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে। এই ঘটনায় আমাদের কোনও দোষ নেই। যা হয়েছে ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। ব্যাঙ্কের চেক দিয়ে পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় এফও এবং ইও-র সই থাকে। অর্থাৎ ফিনান্স অফিসার ও এক্সিকিউটিভ অফিসারের সই থাকে চেকে। এখানে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানের সই থাকে না।” এছাড়া তিনি আরও বলেন, “ব্যাঙ্ক ঠিক মত সই না মিলিয়ে টাকা দিয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায় ব্যাঙ্কের। ভুলভাবে ক্রস চেক না করে ব্যাঙ্ক টাকা দিয়েছে। ৯৭ লক্ষ টাকার আরও একটি চেক এসেছিল। নিয়ম অনুযায়ী পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় চেকে ফিনান্স অফিসার ও এক্সিকিউটিভ অফিসারের সই থাকে। এখানে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানের সই থাকে না। কিন্তু এই চেকে চেয়ারম্যানের সই ছিল যেটা আমাদের অফিস ধরে ফেলেছিল।”
অন্যদিকে, এ বিষয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “আমাদের শাখাতেই পুরসভার অ্যাকাউন্ট আছে। গোটা বিষয়টি হয়েছে মুম্বাই থেকে। তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ক্লোন করে টাকা তোলা হয়েছে। তবে আমাদের এই ব্রাঞ্চ থেকে কোনো রকম টাকা তোলা হয়নি।“